চট্টগ্রাম ব্যুরো: দলের মধ্যে সুবিধাবাদী-হাইব্রিডদের ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিযোগিতা অমঙ্গল বয়ে আনবে। দলের মধ্যে সুবিধাবাদী-হাইব্রিডদের কোনোভাবেই তিল পরিমাণও ছাড় দেওয়া হবে না।’
বুধবার (১৪ অক্টোবর) নগরীর উত্তর কাট্টলী সাংগঠনিক ওয়ার্ডের চারটি ইউনিটের পৃথক কার্যকরী কমিটির সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
ওয়ার্ড-ইউনিট পর্যায়ে ধারাবাহিক সভার প্রসঙ্গ টেনে আ জ ম নাছির বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে করোনার মধ্যেও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কার্যক্রম সচল রাখছে। সামনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া এই মুহুর্তে প্রযোজ্য নয়। এটা করতে গেলে বিভেদ-বিভাজন, কোন্দল সৃষ্টি হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল স্তর থেকে দলকে গতিশীল করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এর মধ্য দিয়ে যোগ্য, পরীক্ষিত ও ত্যাগীরা উঠে আসবে বলে আমাদের ধারণা। এদের খুঁজে বের করতে না পারলে নেতৃত্বের সংকট কখনো দূর হবে না। মনে রাখতে হবে, কারো আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে কোনো সুবিধাভোগী যেন নেতৃত্বে আসতে না পারে।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। তবে ওপরের স্তরে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ ও বিরোধ নেই। তারা চান, মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় হোক। আমি আশা করি, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করবে।’
সভায় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, উপপ্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এ জাফর, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।