বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আমাদের কাজের কেন্দ্রস্থল হবে: যুক্তরাষ্ট্র
১৫ অক্টোবর ২০২০ ২১:০৬
ঢাকা: বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে দেখে এবং একটি স্বাধীন ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের কেন্দ্রস্থল হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, ঢাকা সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে দেখে এবং একটি স্বাধীন ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলা ও এগিয়ে নিতে আমরা নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আমাদের কাজের কেন্দ্রস্থল হবে।’
আরও পড়ুন- ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে’
স্টিফেন বিগান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে। এই ফোরাম দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। আমরা জানি যে বাংলাদেশ বেসরকারি খাতের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। আমরা প্রত্যেকে আমাদের সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন করে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হলেন মি. রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে প্রতিনিধি হলেন আমাদের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কিথ ক্র্যাচ। তারা যৌথভাবে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই পরিকল্পনা যখন বাস্তবায়ন করা হবে তখন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যেকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমত যে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় অংশীদার। তবে আমি যে বিষয়টি জোর দিয়ে বলতে চাই, তা হলো— বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আকষর্ণীয় দিকটি হলো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যা আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে ঘটতে দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত নিয়ে গঠিত এবং আমি বলতে পারি যে আমরা আমাদের ব্যবসায়ী কমিউনিটির কাছ থেকে বাংলাদেশে (বিনিয়োগের ব্যাপারে) তাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথা শুনছি। কারণ আপনাদের ভোক্তা শ্রেণির আকার (অনেক বড়), আপনাদের দক্ষ শ্রমিক রয়েছে, (এবং) বঙ্গোপসাগরে আপনাদের উপস্থিতি রয়েছে। এখানে এমন আরেও অনেক কারণ রয়েছে যা সম্মিলিতভাবে আমাদের আগ্রহকে এখানে আসার ব্যাপারে চালিত করছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর ভূমিকা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা জ্বালানি খাত, আটিসি খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে সহযোগিতা এবং কাজের ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে আগ্রহ বাড়ছে। তার মানে, ঐতিহ্যবাহী তৈরি পোশাক খাতের বাইরে বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরেও বাড়ছে।’
ইন্দো-প্যাসিফিক যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান