আসামির ওপর হামলার মামলা ‘লঘু ধারায়’, আদালতের অসন্তোষ
২০ অক্টোবর ২০২০ ২০:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে আসামির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ লঘু ধারায় মামলা গ্রহণ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করা উচিৎ ছিল বলে অভিমত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমান এ অভিমত দেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় মোক্তার আহমেদসহ ১০ জন আসামি গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে হাজিরা দিতে যান। নতুন আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় চট্টগ্রামের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫ জনকে আসামি করে নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মোক্তার।
মঙ্গলবার ওই মামলার ধার্য তারিখে এজাহারে যেসব ধারা উল্লেখ আছে সে বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মোক্তারের আইনজীবী শাহেদুল আজম শাকিন।
আইনজীবী শাকিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ আদালত প্রাঙ্গনে হামলার মতো একটি ঘটনায় আরও শক্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত করা যেত। আমি এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তখন আদালত বলেছেন, আদালতের মতো জায়গায় যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আইন অন্তর্ভুক্ত করা যেত। এতে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালতের অসন্তোষের বিষয়টি কোতোয়ালী থানাকে জানানোর জন্য বেঞ্চ সহকারিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
এদিকে মোক্তারসহ আসামিদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর মো. শরীফ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। শরীফ নগরীর লালখান বাজারের বাঘঘোনা সড়কের এম আর সিদ্দিক গেইট এলাকার মো. রহিমের ছেলে।
শাকিন জানান, কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা শরীফকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিলেন। আদালত একদিন মঞ্জুর করেছেন।
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসার সামনে নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার এক আসামির জবানবন্দির ভিত্তিতে গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ হয়, ঘটনায় জড়িতরা সবাই নগরীর লালখান বাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী। ফেসবুকে লেখালেখির কারণে দিদারুল আলম মাসুমের নির্দেশে সুদীপ্তকে খুন করা হয়।