অধ্যাপক জিয়ার বিরুদ্ধে ২ মামলা সাইবার ক্রাইমকে তদন্তের নির্দেশ
২৫ অক্টোবর ২০২০ ২২:১১
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুইটি মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলা দুইটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলা দু’টি আমলে নেন। তিনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম (সাইবার ক্রাইম হিসেবে পরিচিত) বিভাগকে তদন্ত করে ১ নভেম্বরের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শামীম এ তথ্য সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অধ্যাপক জিয়াউরের বিরুদ্ধে সকালে দুইটি মামলা দায়েরের আবেদন জমা পড়েছিল ট্রাইব্যুনালে। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছেন, সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম বিভাগ মামলা দুইটি তদন্ত করবে এবং ১ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
অধ্যাপক জিয়াউরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুইটি মামলার মধ্যে একটির বাদী মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম, অন্য মামলাটির বাদী ইমরুল হাসান নামে একজন আইনজীবী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের একটি টক-শো’তে অংশ নেন অধ্যাপক জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানে তিনি ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে গর্হিত, নিন্দনীয়, জঘন্য হিসেবে অভিহিত করেন।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা ও শিক্ষা অনুযায়ী শুদ্ধভাবে সালাম দেওয়াকে অধ্যাপক জিয়াউর রহমান অত্যন্ত গর্হিত, নিন্দনীয়, বেয়াদবিপূর্ণ ও জঘন্যভাবে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের শুদ্ধভাবে ধর্মীয় ইবাদত পালনের মৌখিক অধিকারকে খর্ব করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলাতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তার এমন মন্তব্য মুসলিমদের ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে পারে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তদন্তের নির্দেশ দুই মামলা সাইবার ক্রাইম সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম সিটিটিসি