Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা


২৯ অক্টোবর ২০২০ ২১:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা পণ্য খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে জালিয়াতির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আমদানিকারক ও সেই পণ্য খালাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী শুল্ক কর্মকর্তা সুজয় দেবনাথ বাদী হয়ে নগরীর বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক এবং সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি চট্টগ্রামের খান এন্টারপ্রাইজের মালিককে মামলায় আসামি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ (২) ও ২৩ (২) এবং দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকার চকবাজারের মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ চলতি বছরের শুরুর দিকে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি চীনাবাদাম ও ৪ হাজার ৫১০ কেজি জলপাই আমদানির ঘোষণায় একটি চালান নিয়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি চট্টগ্রামের খান এন্টারপ্রাইজ চালানটি খালাসের জন্য ২৩ এপ্রিল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।

গোপন সংবাদে সন্দেহজনক পণ্যের উপস্থিতির তথ্য থাকায় কাস্টমসের এআরআই শাখা চালানটির খালাস স্থগিত করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, ওই চালানে আনা হয়েছে উচ্চশুল্কের ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য গুঁড়োদুধ।

ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে ৬৬ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ও ১০ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানা দেওয়া আদেশ দেয়। আমদানি পণ্যের চালানটি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা আমদানি রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের ক্লিয়ারেন্স পারমিট কাস্টমসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ১১ অক্টোবর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিয়াম এন্টারপ্রাইজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ক্লিয়ারেন্স পারমিট কাস্টমসে দাখিল করে। ১৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিও দাখিল করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিএসটিআই’র ছাড়পত্র এবং কাস্টমসের আরোপিত জরিমানা ও শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে চালানটি ছাড় দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

কাস্টমসের এআরআই শাখা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায়, পণ্যছাড়ের জন্য জমা দেওয়া ক্লিয়ারেন্স পারমিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ভুয়া। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে www.mincom.gov.bd। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি www.mincomgov.com নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে পণ্যছাড়ের ভুয়া অনুমোদনপত্র জমা দেয় বলে শনাক্ত করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

কাস্টমস জালিয়াতি পণ্য আমদানি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভুয়া ওয়েবসাইট মিথ্যা ঘোষণা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর