Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫৫ টাকার কমে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি সম্ভব নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী


১ নভেম্বর ২০২০ ১৯:১২

ঢাকা: ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (১ ন‌ভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

বা‌ণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিনদিন আগে থেকে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনো অবস্থায় ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের সময় এই ঘাটতি দেখা দেয়। এরে ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোববার (১ নভেম্বর) ভারতের কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি অর্থাৎ ৫৫ টাকা। তার মানে আলু-পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশের পাশাপাশি তাদের দেশেও বেড়েছে ‘

টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারতের বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর সংকট এবং দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা আগে থেকে আমাদের কিছু বলল না, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। গতবারও একই অবস্থা হয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি, আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৬ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে, এটা কি আসলেই সঠিক দাম? আপনাদের সেই তথ্যই আগামী দিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে আমি জড়িত, একসময় বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। এই খাতটি সম্পর্কে আমি জানি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ায় মহামারির মধ্যেও এই খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে আগের অবস্থানে চলে এসেছে।’

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, ইআরএফ সাবেক সভাপতি শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ জুরি বোর্ডের সমন্বয়ক সিরাজুল কাদির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, এ বছর নয়টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জন ইআরএফ সদস্য সেরা রিপোর্টার হিসেবে নির্বাচিত হন। এবছর অ্যাওয়ার্ড প্রদানে সহায়তা করেছে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবা‌দিক‌দের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

পুরস্কার বিজয়ীরা হ‌লেন- দৈ‌নিক ইত্তেফাকের জামাল উদ্দীন, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, প্রথম আলোর রাজিব আহমেদ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শাহ কাজল ও সানাউল্লাহ সাকিব, শেয়ার বিজের ইসমাইল আলী, যুগান্তরের এসএএম হামিদ উজ জামান, দ্য বিজ‌নেস স্ট্যার্ন্ডার্ডের জেবুন নেসা আলো, দেশ রূপান্তরের আলতাফ মাসুদ, জিটিভির রাজু আহমেদ, যমুনা টি‌ভির সুশান্ত সিনহা, রিমন রহমান, আলমগীর হোসেন, সময় টিভির এস এম যোবায়ের আলম এবং একাত্তর টিভির কাবেরী মৈত্রেয়।

৫৫ টাকা আমদানি টিপু মুনশি পেঁয়াজ বাণিজ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর