চট্টগ্রাম ব্যুরো: পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া স্বজনদের জন্য অনন্তলোকের প্রার্থনা জানিয়ে চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে ‘অল সোলস ডে’। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হাজারো নারী-পুরুষ, শিশু কবরে মোমবাতি জ্বেলে, ফুল ছিটিয়ে প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ করেছেন।
প্রতিবছর ২ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে অল সোলস ডে পালিত হয়। চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় সমাগম ঘটে নগরীর পাথরঘাটায় রাণী জপমালা গির্জার কবরস্থানে। এবারও সোমবার (০২ নভেম্বর) শেষ বিকেলের আকাশে যখন বিদায়ী সূর্যের লালচে আভা উঁকি দিচ্ছিল, তখন থেকেই রাণী জপমালা গির্জার কবরস্থানে জড়ো হতে থাকেন শোকার্ত স্বজনেরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে চট্টগ্রামের বৃহত্তম এই গির্জায় শোক ও প্রার্থনা সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। গির্জার পাল পুরোহিত ফাদার সুব্রত বনিফাজ টলেন্টেনু এতে পৌরহিত্য করেন। সহযোগিতা করেন ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স। পরপারে পাড়ি দেওয়া স্বজনদের জন্য প্রার্থনায় গলা মেলান সমবেত খ্রিস্টধর্ম অনুসারীরা।
ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স বলেন, ‘খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন। এদিন আমরা তাদের আত্মার শান্তি কামনায় মহাপ্রার্থনা করেছি। তাদের আত্মা যেন স্বর্গসুখ লাভ করে সেই প্রার্থনা। তারা যেন অনন্তলোকে প্রভু যীশুর সান্নিধ্য পান সেই প্রার্থনা করেছি। এছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার আকুতিও জানানো হয়েছে মহান ঈশ্বরের কাছে।’
প্রার্থনায় উপস্থিত কারিতাস, বাংলাদেশ এর পরিচালক (কর্মসূচি) জেমস গোমেজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্বজনদের জন্য অনন্তলোকের পাশাপাশি নিজেদের পূণ্যময় জীবন কামনায়ও প্রার্থনা করা হয়েছে। এবার বিশেষ পরিস্থিতিতে অল সোলস ডে পালন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কাল চলছে। সেজন্য সব ধরনের স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনেই আয়োজন করা হয়েছে।’
প্রার্থনা শেষে খ্রিস্ট ভক্তদের জন্য খ্রিস্টপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। ‘অল সোলস ডে’ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন গির্জায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।