৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে বেসরকারি খাত
৪ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০১
ঢাকা: অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগ। বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনায় ৮১ শতাংশ বিনিয়োগ আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। সেইসঙ্গে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, রফতানি পণ্য ও স্থান বহুমুখীকরণ এবং সেবা খাতে কর্মসংস্থান তৈরিতে বিশেষ গুরুত্বের তাগিদও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খাতভিত্তিক আলোচনা বক্তারা এসব তাগিদ দেন। ভাচুর্য়াল পদ্ধতিতে এ আলোচনার আয়োজন করে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে যাওয়া খাতগুলো হচ্ছে- ‘স্ট্রেংদেনিং পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পাবলিক ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড গর্ভানেন্স’, ‘স্ট্রাটেজি ফর ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ডেভেলপমেন্ট উইথ এক্সপোর্ট লেড গ্রোথ’ এবং ‘সার্ভিস সেক্টর অ্যাজ দ্যা ব্রিচজ ফর স্ট্রাকচারাল ট্রান্সফরমেশন।’
ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জিইডির সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.শামসুল আলম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও অর্থনীতিবিদরা অংশ নেন। তিনটি খাতের বিষয়ে মূল পরিকল্পনার খসড়া উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র) সচিব ড. শামসুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এসএমই খাত হচ্ছে দেশের মূল চালিকা শক্তি। অর্থনীতির হার্ট বলা যায় এসএমই খাতকে। কোভিডের কারণে বিদেশি ক্রেতাদের কিছুটা সমস্যা হলেও এখন তারা আসছেন। নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজ চলছে। নতুন শিল্পের পাশাপাশি পুরনো শিল্পগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শক্তিশালী করা হচ্ছে। সেবা খাতের উন্নয়নে মানসম্মত অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এসডিজির ক্ষেত্রে মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে বেসরকারি খাত। এক্ষেত্রে বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বিটাক সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আলোচনায় ড. শামসুল আলম বলেন, ‘যেসব বড় অর্থনীতির দেশ রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে ফ্রি অ্যাগ্রিমেন্ট ট্রেড করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। রফতানিতে পোশাক খাতের নির্ভরতা কমাতে হবে। এছাড়া ট্যারিফ-নন ট্যারিফ বাধা দুর করতে হবে। পাশাপাশি ট্রেড পলিসি তৈরি করতে হবে। ৮১ শতাংশ বিনিয়োগ আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতেই হবে।’
এর বাইরে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন- বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সিপিডির ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রাকের কেএম মোরশেদ, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা আনিসুদ্দৌল্লা, রূপালী চৌধুরী ও বিআইডিএসের ড. মনজুর হোসেন প্রমুখ।
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি গুরুত্ব জবাবদিহিতা বেসরকারি খাত সুশাসন স্বচ্ছতা