মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় দীর্ঘসূত্রিতা এবং সৃষ্টি হওয়া অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। খবর রয়টার্স।
জার্মানির নেতারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ এ ট্রাম্প নয়, তাদের পছন্দ বাইডেন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনিই জিতছেন।
এরপরই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানাগ্রেট ক্রাম্প ক্যারেনবাওয়ার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, তিনি জিতে গেছেন। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরক পরিস্থিতি ও সংকট দেখা দিতে পারে।
সরকারি রেডিওতে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের কোনো মীমাংসা এখনও হয়নি। ভোট গণনা চলছে। এখন থেকেই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গেছে।
এদিকে, জার্মান ভাইস চ্যান্সেলার এবং অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস বলেছেন, জরুরি হলো, প্রতিটি ভোটের গণনা এবং সবশেষে ফলাফলের ঘোষণা।
ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক নিয়ে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, হোয়াইট হাউসে কোন প্রশাসন আছে, তার উপরই বন্ধুত্ব অনেকটা নির্ভর করে। তবে তার মতে, ভোটে যাই ফল হোক না কেনো, ইউরোপকে আত্মনির্ভর হতে হবে। ইউরোপকে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজ শক্তিশালী করতে হবে।
এ ব্যাপারে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর দুই দেশের সম্পর্কের কোনো হেরফের হবে না। ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কও বদলাবে না। যিনিই জিতুন না কেন, ওয়াশিংটন তাদের সংঘাতের নীতি থেকে সরবে না।
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্বপূর্ণ অংশীদারের মতো ব্যবহার করছে না। তাই, ট্রাম্প থাকুন বা বাইডেন আসুন – মার্কিন নীতি বদলানোর সম্ভাবনা কম।
তবে, আশা ছাড়ছে না যুক্তরাজ্য।
যুক্তরকাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। নির্বাচনে যিনিই জিতুন না কেন, দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে।
স্কাই নিউজকে ডমিনিক রাব বলেছেন, সুযোগ ও ঝুঁকির সামান্য কিছু হেরফের হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে দেখলে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের স্বার্থের বিষয়টা এতটাই বড় যে, সেখানে কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়।
