Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলজিইডি’র ৬৯টি শস্য গুদামের মালিকানা পেল কৃষি বিপণন অধিদফতর


৫ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৩০

ঢাকা: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) মালিকানাধীন ৬৯টি শস্যগুদামের মালিকানা কৃষি বিপণন অধিদফতরকে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের ৮টি বিভাগের ৪৭টি জেলায় ১০৬টি উপজেলায় কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এলজিইডির মালিকানাধীন ৬৯টি শস্যগুদাম কৃষি বিপণন অধিদফতরে হস্তান্তরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শুধু ৬৯টি নয়, সারাদেশেই আমাদের খাদ্য গুদাম করতে হবে। আমরা দাবি করছি আমরা কৃষিবান্ধব সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। স্থানীয় সরকার বিভাগ খুব সহজেই ৬৯টি গুদাম হস্তান্তর করছেন এবং কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য জমি দিচ্ছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা দিয়ে আমাদের শুরু। আমরা এই প্রকল্পকে আরও সম্প্রসারিত করব।’

মজুদ করতে না পারায় কৃষককে কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে হয় জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৯৭৮ সালে চিন্তা করেছিলাম ধান যাতে তার বিক্রি করতে না হয়, কিছুদিন ধান রাখতে পারে। সেজন্য ৮০ ভাগ ঋণ দিয়ে দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। ধানের দাম যখন বাড়বে তখন যাতে বিক্রি করে বেশি মূল্য পায়। এই প্রকল্পটি অনেক আগেই বিস্তৃত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেটি হয়নি।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন,‘ বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন আর আমাদের খাদ্য আমদানি করতে হয় না। এরকম একটি সময়ে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও আরও বেশি গুণগত পরিবর্তন আনাসহ উপজেলা পর্যায়ে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেওয়ায় আমি কৃষিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে এটাই সঠিক সময় ৬৯টি শস্যগুদাম হস্তান্তরের।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, রংপুর, শেরপুর, মাগুরা ও বরিশাল অঞ্চলে ২৭টি জেলায় ৫৬টি উপজেলায় ৮১টি গুদাম পরিচালিত হচ্ছে। ৮১টি গুদামের মধ্যে ১২টি গুদাম কৃষি বিপণন অধিদফতরের নিজস্ব এবং অবশিষ্ট ৬৯টি গুদাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কাছ থেকে বার্ষিক ভাড়াভিত্তিতে ব্যবহার করা হতো।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিপণন কৃষি বিপণন অধিদফতর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর শস্যগুদাম

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর