কমেছে চালের দাম, সবজির বাজার অপরিবর্তিত
৬ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২৫
ঢাকা: শীত এলেও বাজারে এখনো বাড়তি রয়েছে সবজির দাম। আগের দামেই বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর দামও রয়েছে একইরকম। কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের দাম। কাঁচামরিচ এখন কেজিতে ২০০ টাকার কমেও বিক্রি হচ্ছে৷ অন্যদিকে, চালের দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, বারমা ৭০ ও চায়না ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা দোকানগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খুবই কম। এছাড়া কারওয়ানবাজারে চায়না আদা ২৩০ টাকা, চায়না রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পাইকারি বাজারে আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷ আর খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। মহাখালীর বউ বাজারের দোকানী শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, পাইকারি বাজার থেকে ৪৪ টাকা কেজিতে আমাদের আলু কিনে আনতে হয়েছে। আমরা ৫০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করছি।
সবজির মধ্যে কারওয়ানবাজারে বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ১১০ টাকা ও গাজর ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, কিছু সবজির দাম আবারও বেড়েছে। কিন্তু কোনটিরই কমেনি।
এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৩৫ টাকা, ঢেরশ ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সিম ১৪০, বেগুন ৬০ টাকা ও করলা ৭০ টাকা, টমেটো ১১০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি ৪০ ও পাতা কপি ৪০ এবং লাউ ৬০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে৷
আর এই বাজারে শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৪০ থেকে থেকে ২০০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২৬০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। সয়াবিন তেল ১১৭ টাকা লিটারে ও ডিম ৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহেও ডিম ৩৫ হালিতে বিক্রি হয়েছিল।
এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। দুই একটি সবজির দাম কমেছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে।
এদিকে, বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কোন কোন চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা কমেছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, চালের দাম কিছুটা কমেছে। কারওয়ানবাজারের হাজী ইসমাইল এন্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, কেজিতে চালের দাম এক থেকে দুই টাকা করে কমেছে।
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরু ৬০০ ও খাসি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৩০টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২২০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।