Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জোড়া খুনের আসামি লিমনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ


৮ নভেম্বর ২০২০ ১৯:১৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম লিমনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায়নি পুলিশ। তবে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সজল দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (০৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদ এ আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লিমন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। সাত বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে সংঘাতে জোড়া খুনের মামলার আসামি হওয়ার পর সাইফুল ইসলাম লিমনকে বহিষ্কার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে লিমনকে নগরীর কোতোয়ালী থানার সিআরবি এলাকা থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার সহযোগী সজল দাশের (২৩) কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত লিমনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সজলকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’

রেলওয়ের কোটি টাকার দরপত্রের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সেসময়ের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে নগরীর সিআরবি (রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর) এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) এবং স্থানীয় বস্তির শিশু মো. আরমান (৮)।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর নগরীর কোতোয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারে সাইফুল ইসলাম লিমনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছিল। নিহত সাজু বিশ্বাসের মা পরে আরেকটি মামলা আদালতে করেন। আদালত দু’টি মামলা একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই মামলায় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর ৬২ জনকে আসামি এবং ৩৭ জনকে সাক্ষী করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিবিআই অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এতে ৬৪ জনকে আসামি ও ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়। এই প্রতিবেদনে লিমনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

জেলগেট জোড়া খুনের আসামি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর