Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে দারুণ সাড়া


৯ নভেম্বর ২০২০ ১০:৪৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরুর ১৫ দিনেই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) আশা করছে, আবেদনের সময়সীমা ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সবমিলিয়ে কমপক্ষে ১৫ লাখ আবেদন জমা পড়বে।

ডিপিই বলছে, প্রাথমিকের শিক্ষক হতে মাত্র ১৫ দিনেই পাঁচ লাখ আবেদন এর আগে কখনো জমা পড়েনি। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন চাকরির পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আবেদনের এই কাড়াকাড়ি বলে মনে করছে অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তবে চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, গ্রেড উন্নীত হওয়ার কারণেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদে চাকরিতে আগ্রহী হচ্ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

আবেদন প্রক্রিয়া শেষে কামরুল পাঠান নামে একজন চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, আগে কখনোই প্রাথমিকে পরীক্ষা দেইনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে একটা বছর বসেছিলাম, কোথাও পরীক্ষা দিতে পারিনি। এই সময়ে সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডও বাড়িয়েছে সরকার। পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ানো হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি। এজন্য আবেদন করা।

কামরুলের মতো আরও অনেকেই বলছেন, গ্রেড বেড়ে যাওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বেতন-ভাতার সঙ্গে সঙ্গে মর্যাদাও এখন আগের তুলনায় বেড়েছে। এর ফলে তরুণদের মধ্যে এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

আবেদনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার সারাবাংলাকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পেতে এখন পর্যন্ত পৌনে পাঁচ লাখ আবেদন ছাড়িয়ে গেছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর যে ১৫ দিন আবেদনের সুযোগ আছে, সেই সময়ে আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নিয়োগ পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপিই’র এই কর্মকর্তা বলেন, আবেদন কার্যক্রম শেষে প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। এরপর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে আবেদন শেষ হওয়ার পর একমাস সময় লাগতে পারে বলে মনে করছি।

তবে ডিপিই’র আরেকটি সূত্র বলছে, আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক বেশি এত দ্রুত পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব নাও হতে পারে। সূত্রটি বলছে, আবেদন শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, গত অক্টোবরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এবার সব মিলিয়ে সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশের ইতিহাসে সরকারি কোনো চাকরিতে এটিই বৃহত্তম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। শূন্য আসনের বিপরীতে চাররিপ্রার্থীদের সংখ্যা বেশি হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সম্মান বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের বয়স ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩২ বছর।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। আগামী ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা।

এবারের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারাদেশে ২৫ হাজার ৬৩০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ছয় হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

চাকরিপ্রত্যাশী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সহকারী শিক্ষক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর