ইয়াবার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র দেওয়ার মামলায় ২ জন রিমান্ডে
৯ নভেম্বর ২০২০ ১৮:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। বিদেশি পিস্তলসহ তাদের গ্রেফতারের পর নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছিল, তারা ইয়াবার বিনিময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করেন।
সোমবার (৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহান তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দেন। রিমান্ড আবেদনের শুনানির সময় বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
ওসি নেজাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার দুজনের বিষয়ে যেসব তথ্য আমরা প্রাথমিক তদন্তে পেয়েছি, সেগুলো খুবই গুরুতর। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভেতরে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। এজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা দশদিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করেছেন।’
গত বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুর রাজ্জাক (২১) নামে একজনকে আমেরিকায় তৈরি একটি পিস্তল ও দুটি ম্যাগজিনসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মো. কামাল (৪০) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আব্দুর রাজ্জাক ও কামালের বাড়ি টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক। তবে কামাল লেদা ক্যাম্পে বসবসারত এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করেছেন। রাজ্জাক ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিয়ে তার কাছ থেকে অস্ত্রটি সংগ্রহ করেন। সেটি কামালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কামালের সেটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক নেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। রোহিঙ্গারা তাদের ইয়াবা দিতো। বিনিময়ে তারা রোহিঙ্গাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতো।