প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি অনেক ঋণী: পাটমন্ত্রী
১৪ নভেম্বর ২০২০ ০৯:০৭
নারায়ণগঞ্জ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি অনেক ঋণী। তিনি আমার ওপর অনেক আস্থা রেখে প্রথমে আমাকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আমাকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানজনক স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২০) দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এসব ঋণ আমি কাজের মাধ্যমে পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমার ঋণ শোধ হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বঙ্গবন্ধু আমাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেছেন। পিতার হাত থেকে পদক, কন্যার হাত থেকে পদক- এ দুটিই আমি পেয়েছি। আমার আর পাওয়ার কিছু নাই।’
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় রূপসী শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক ‘স্বাধীনতা পদকে’ ভূষিত হওয়ায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে (বীরপ্রতীক) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারাবো পৌরসভার উন্নয়নে সকল সহযোগিতা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তারাবো পৌরসভার উন্নয়নে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব সুযোগ সুবিধা পৌরবাসী পাচ্ছে। আধুনিক ও সমৃদ্ধ পৌরসভা হবে তারাবো পৌরসভা।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জবাসীকে খুবই ভালোবাসেন। রূপগঞ্জকে তিনি রূপের নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। রূপগঞ্জের আগে নারায়ণগঞ্জে ফ্লাইওভার ও শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে চেষ্টা করেও পারা যায়নি। আর রূপগঞ্জে ফ্লাইওভার ও শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু নির্মাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, তারাবো পৌর এলাকায় হাছিনা গাজী ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। পৌর এলাকার প্রত্যেক ঘরে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরবান হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। বাগবাড়ি সড়ক পাকা হয়েছে। ৫০০ আসন বিশিষ্ট পৌর অডিটোরিয়াম নির্মাণ হচ্ছে। তিনি তারাবো পৌরসভাকে ঋণমুক্ত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, কেউ উন্নয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না। উন্নয়ন সবার। যতক্ষণ দায়িত্বে আছি ততক্ষণ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আপনাদের যার যে কাজ দরকার আমাকে জানাবেন আমি করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমার টাকা-পয়সার অভাব নেই। রূপগঞ্জবাসীর ভালোবাসায় আমি গর্বিত। আমি কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমার ঋণগুলো পরিশোধ হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানে সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র হাছিনা গাজী বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তারাবো পৌরসভা এখন দেশের পৌরসভাগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ পৌরসভা। তারাবো পৌরসভাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পৌরসভা গড়তে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
রূপসী শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি আক্তার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও রূপসী শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তারাবো পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন পান্নু, তারাবো পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, তারাবো পৌরসভার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মফিজসহ অনেকে।
তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী স্বাধীনতা পদক