Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শুধু সমস্যা খুঁজলে হবে না, সমাধান করতে হবে’


১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৯:২১ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৫৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সজীব ওয়াজেদ জয় (ফাইল ছবি)

ঢাকা: যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেগুলো তরুণ সমাজকে মাথায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। শুধু নালিশ করলে হবে না। সমস্যা খুঁজলে হবে না। সমস্যার সমাধান করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে সিআরআই ও ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয়বাংলা অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি নিউইয়র্ক থেকে যুক্ত হয়ে জয় অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মধ্যে এই অ্যাওয়ার্ড সিরোমনি ভার্চুয়ালি করতে পারছি। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্চ থেকে দেশে আসতে পারছি না। কারণ এখানে কোভিডের ভয়ংকর পরিস্থিতি। তারপরও আমাদের সরকার ভার্চুয়ালি দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের কাজ ভার্চুয়ালি করে যাচ্ছি। পাঁচ অথবা দশ বছর আগে বাংলাদেশের কেউ কি কল্পনা করতে পারতো? আমি নিজেই একটু গর্বিত যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের এটাই একটা লাভ এবং ফলাফল। আজ যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো আমাদের অর্থনীতি কিন্তু একদম শেষ হয়ে যেত।’

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল বাংলাদেশের শুরুর কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশনটা তৈরি করি এবং এটাকে দশ বছর ধরে বাস্তবায়ন করি। শুরুর দিকে এটা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছে, টিটকারি করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কি? তবে সেটার লাভ আমরা আজকে পাচ্ছি, এই বছরে পাচ্ছি। কোভিড-১৯ হোক আর যাই হোক- আমাদের কোনো সমস্যা নাই। আমরা দেশের কাজ চালিয়ে যেতে পারব। ডিজিটাল বাংলাদেশ কিন্তু আমরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করেছি। এটা কিন্তু কোন বিদেশি কনসালটেন্ট কোম্পানি এসে, বিশ্বব্যাংক এসে বাস্তবায়ন করেনি। এটার সম্পূর্ণ প্ল্যান ও ইম্প্লিমেন্টেশন আমাদের নিজস্ব চিন্তা ধারায় করা।‘ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবে বলেও অঙ্গীকার করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতার আন্দোলন-সংগ্রামের কথা স্মরণ করে জয় বলেন, ‘তিনি জীবন দিয়ে গেছেন দেশের মানুষের জন্য। উনার একটিমাত্র স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ঠিক আমাদের ইয়াং বাংলার বিজয়ীরাও সে কাজটি করেছে। দেশের মানুষের জীবনের যাতে উন্নয়ন হয়, পরিবর্তন হয়, দেশের মানুষ যাতে সুখে থাকে, শান্তিতে থাকে এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।’

জয় বাংলা অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় শেষে ধন্যবাদ জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আপনারা অসাধারণ কাজ করছেন। আপনাদের চিন্তাধারা আসলেই দেশের মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। শিশুদের, নারীদের, প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতা করছেন। কারণ তারা তো পিছিয়ে থাকতো, তাদেরকে কেউ দেখতো না। তাদেরকে বোঝা মনে করত আমাদের সমাজে। তবে তারা তো মানুষ, আমাদের দেশের মানুষ।’ ডা. নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআরআই’র ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু।

২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়াং বাংলা তরুণদের ১৩০ সংগঠনকে সমাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক সংগঠনই পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবেও পেয়েছে নিজেদের কাজের স্বীকৃতি।

গতবারের মতো এবারও জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের ৬০০ সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দারিদ্রদের উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ সংগঠনকে রাখা হয়েছে প্রাথমিক জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ীর তালিকায়। বিজয়ীদের হাতে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ল্যাপটপ পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া শীর্ষ মনোনয়ন পাওয়া সব সংগঠন পাবে সার্টিফিকেট।

বিজয়ী ৩০ সংগঠন হলো: ব্লাডমেন হেলথ কেয়ার, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, সেন্ট্রাল বয়েস অব রাউজান (চট্টগ্রাম), ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ আর্মি (নোয়াখালী), মিশন সেইভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (ঢাকা), ফুটস্টেপ বাংলাদেশ (নোয়াখালী), সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন (কুড়িগ্রাম), প্লাস্টিক ইনিশিয়েটিভ নেটওয়ার্ক (পিআইএন), ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ঢাকা), সাইকিওর অর্গানাইজেশন (জামালপুর), দিপ মেডিক্যাল সার্ভিসেস ও দিপাশা ফাউন্ডেশন (নাটোর), পহরচাঁদা আদর্শ পাঠাগার (কক্সবাজার), উত্তরণ যুব সংঘ (মৌলভীবাজার), সিনেমা বাংলাদেশ (লক্ষ্মীপুর), হ্যাপি নাটোর (নাটোর), ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় (রাজশাহী), অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন (পটুয়াখালী), মিজারেবল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশান (সিলেট), হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন (পিরোজপুর), এক টাকায় শিক্ষা (চট্টগ্রাম), গুডফিল্ম (বরিশাল), উন্মেষ (রাঙ্গামাটি), ইগনাইট ইয়ুথ ফাউন্ডেশন (চাঁদপুর), আইটেক স্কুল (চাঁদপুর), পজিটিভ বাংলাদেশ (ঢাকা), দেশি বলারস (ঢাকা), ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ (বরিশাল), সেন্টার ফর রাইটস অ্যান্ড অ্যাম্প: ডেভেলপমেন্ট অব পার্সন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস (বরিশাল), বাংলাদেশ হুইল চেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন (ময়মনসিংহ) এবং হবিগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশান ফর অটিজম অ্যান্ড সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট (হবিগঞ্জ)।

উল্লেখ্য, প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য ‘ভিশন-২০২১’-এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।

ইয়াং বাংলা জয়বাংলা অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সিআরআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর