Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্রিজে উঠতে বাঁশের মাচা, ঝুঁকিতে ১৫ গ্রামের মানুষ


২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১১

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের ছোট মহারাজপুর গ্রামের বাঐখোলা-পোরজনা সড়কে ব্রিজে উঠতে বাঁশের মাচাই একমাত্র ভরসা। সেই মাচাও পুরনো হয়ে যাওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী। ১৫ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের মাচা দিয়ে চলাচল করছে। পণ্যবাহী ভ্যান উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, ১০ মাস আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২৪ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুট কংক্রিট ব্রিজটি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় করা হয়। ওই ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার ১৫ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুকিপূর্ণ বাঁশের মাচা দিয়ে ব্রিজ পাড় হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রামগুলো হলো- বাচড়া, চরবাচড়া, পোরজনা, বাঐখোলা, রাণীকোলা, ছোট মহারাজপুর, চর কাদই, পুরান কাদাই, পুঠিয়া, বেলতৈল, উল্টাডাব, চরকৈজুরি, বড় মহারাজপুর, কাকরিয়া ও জামিরতা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। প্রায় ১০ মাস আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও এর দুইপাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের না করায় বর্ষার সময় গ্রামের চাকরিজীবীদের দেওয়া ২০ হাজার টাকায় বাঁশের মাচা তৈরি করা হয়েছে। এটাও পুরনো হয়ে পড়ায় ও পানিতে পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পণ্য বোঝাই রিক্স-ভ্যান যাতায়াত করতে পারে না। ফলে ধান, চাল, পাট, গৃহনির্মাণও স্যানিটারি সামগ্রী মাথায় করে নিতে হয়। এতে খরচ ও সময় বেশি লাগে। এ ছাড়া কষ্টও হয়। বৃদ্ধ ও শিশুরা যাতায়াত করতে পারে না। প্রায়ই পণ্যবাহী ভ্যান উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পেরজনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওসমান গণি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পরপরই বন্যার পানি চলে আসায় মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রিজ নির্মাণের পর কিছুটা মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙ্গে গেছে। পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করা হবে।

ব্রিজ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর