বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াবে নরওয়ে: বাণিজ্যমন্ত্রী
২৫ নভেম্বর ২০২০ ২০:৫৪
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নরওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। নরওয়ে বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক দেশ সফরের মাধ্যমে এ সুযোগকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও ওষুধ, সিরামিক পণ্য, ফার্নিচার, আইসিটি, হিমায়িত মৎস্য, চামড়াজাত পণ্য এবং হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি করার সুযোগ রয়েছে। এ রফতানি আরও বাড়ানো সম্ভব।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী সরকারি বাসভবনের অফিস থেকে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ইসপেন রিকটার এসভেনডসেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্সসহ বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এ মহুর্তে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ খুবই আকর্ষণীয় স্থান। নরওয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবে। বাংলাদেশ পণ্যের একটি বড় বাজার। পার্শবর্তী চীন ও ভারতও পণ্যের বড় বাজার। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য এসব দেশে রফতানি করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে তুলনামূলক কম মূল্যে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ ৫.২৪ ভাগ হবে, যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নতিতে নরওয়ে খুশি। বাংলাদেশে নরওয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নরওয়ে টেলিফোন খাতে বড় বিনিয়োগ করেছে। নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা নরওয়েতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা খুবই আকর্ষণীয়। আগামিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বসে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেবে। উভয় দেশের সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ নরওয়েতে ৬৮.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৫১.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।