দুর্বল প্রকল্পগুলো খতিয়ে দেখবে আইএমইডি
২৫ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৪২
ঢাকা: প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন দুর্বল প্রকল্পগুলো খতিয়ে দেখবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। যেসব প্রকল্পের দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও অগ্রগতি শূন্য থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে, সেসব প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করা হবে। কেন অগ্রগতি কম এবং কী কী সমস্যা বিরাজ করছে, সেসব সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইএমইডি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘শুদ্ধাচার উত্তম চর্চা বিষয়ে গণমাধ্যকর্মীদের সমন্বয়ে অংশীজন’ শীর্ষক সেমিনারে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এসব কথা বলেন। সেমিনারে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সদস্যরা অংশ নেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএমইডি উপসচিব মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। এসময় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন ডিজেএফবির সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ন কবীর, সহসভাপতি হামিদ-উজ-জামান, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মামুন আবদুল্লাহ, কার্যকরী সদস্য সুশান্ত সিনহা, মাসুম বিল্লাহসহ অন্যরা।
বক্তারা আইএমইডি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান এবং কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সেসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
আইএমইডি সচিব বলেন, একটি নতুন উদ্যোগ হিসেবে সব মন্ত্রণালয়ের দুর্বল প্রকল্পগুলো বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিগগিরই এই কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা কাউকে ধরার জন্য বা মারার জন্য কাজ করি না। সেরকম মনোভাব থাকাটাও ঠিক নয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইএমইডি’র কর্মকর্তাদের দেখাটা যেন দেখার মতো হয়।
তিনি বলেন, আইএমইডিকে আরও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দিতে হবে। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি প্রকল্প পরিদর্শন প্রতিবেদন বেশি বড় করার প্রয়োজন নেই। ছোট হোক, কিন্তু সেটি যেন কার্যকর হয়।
সচিব জানান, দেশব্যাপী বাস্তবায়িত সব প্রকল্প মূল্যায়ন করা আইএমইডি’র জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কেননা জনবল সংকট রয়েছে। তাছাড়া লজিস্টিক সংকটও আছে। তারপরও আইএমইডি ব্যতিক্রম ও কার্যকর কিছু করার চেষ্টা করছে। একটি প্রকল্পের মানসম্মত বাস্তবায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইএমইডি’র ত্রিপাক্ষিক সহায়তা প্রয়োজন।
আইএমইডি আইএমইডি সচিব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ বাস্তবায়ন