ঢাকা: করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের কারণে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা বাদে বাতিল হয়েছে দেশের সব পাবলিক পরীক্ষা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও বছর শেষ হচ্ছে অটো প্রমোশনে। এর মাঝেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানালেন নতুন আরেক তথ্য। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি একই রকম থাকলে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি সঠিক সময়ে পরীক্ষা নিতে চাই। যেহেতু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত একবছর শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গেছে, এজন্য তিন মাসের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- এইচএসসি’র ফলে এসএসসি-জেডিসি’র হিস্যা কত— জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর পাঠদানে ঘাটতি থাকায় নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দুয়েক মাস হয়তো পেছাবে। এর মধ্যে তিন মাসে যতটুকু পড়ানো হবে, ততটুকু দিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে সপ্তাহে ছয় দিন তাদের ক্লাস করানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ না কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। মহামারির ঝুঁকি থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠিন হবে। এজন্য করোনার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।
উল্লেখ্য, করোনা ঝুঁকি বিবেচনায় এ বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এই ছুটি আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেক্ষেত্রে ২০২১ জানুয়ারির শেষ দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা দেখছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।