‘৩০ বছর পরও সরকার স্বৈরতন্ত্রের প্রেতাত্মা কাঁধে নিয়ে হাঁটছে’
২৬ নভেম্বর ২০২০ ২৩:১০
ঢাকা: স্বৈরশাসকের পতনের ৩০ বছর পরও সরকার সামরিক স্বৈরতন্ত্রের প্রেতাত্মা কাঁধে নিয়ে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠী গণঅভ্যুত্থানের সুফল ভোগ করছে। কিন্তু মিলন হত্যার বিচার করেনি আজও।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) শহিদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, ক্ষমতার রাজনৈতিক সমীকরণে সরকার ডা. মিলনের ঘাতকদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করেছে। ডা. মিলনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আদর্শ ও নীতি বিসর্জন দিয়ে সরকার এরশাদ সামরিক স্বৈরতন্ত্রের প্রেতাত্মা কাঁধে করে হাঁটছে। এটা সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, তিন দশক পার হলেও এখন পর্যন্ত ডা. মিলনের হত্যাকারীদের বিচার হয়নি। অথচ নব্বই পরবর্তী সরকারগুলোর অঙ্গীকার ছিল মিলন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করার। নব্বই পরবর্তী সরকারগুলো মিলনের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। তারা নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সুফল ভোগ করে আসছে। অথচ তাকে শহিদের উপযুক্ত মর্যাদাটুকু দেয়নি।
ডা. মিলনের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, শহিদ ডা. মিলন যে গণতন্ত্র, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার জন্য জীবন দিয়েছেন, আজ দেশকে তার বিপরীত দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে এক জুলুমতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন ও জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা জোরদার করে ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
ডা. মিলন ডা. মিলন দিবস ডা. শামসুল আলম খান মিলন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বিবৃতি সাইফুল হক