৩ মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৭২৬ কোটি টাকা
১ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৫১
ঢাকা: অবশেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সবশেষ তিন মাসে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে এক হাজার ৭২৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য— চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এটি বিতরণ করা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর আগে, এ বছর জুন পর্যন্ত সময়ে দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসে পৌনে ২ শতাংশ খেলাপি ঋণ কমেছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র বলছে, করোনাকালীন ব্যাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ছাড় ও ঋণ পুনঃতফসিল করার বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। এছাড়াও সাতশ জনের বেশি ঋণগ্রহীতা আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে রেখেছেন। এ ধরনের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। এতে করে তাদের ঋণখেলাপি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) উল্লেখ করা যাচ্ছে না। এসব কারণে সর্বশেষ তিন মাসে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এতে করে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। সংকট মোকাবিলায় ঋণখেলাপিদের বেশ কিছু সুবিধা দেয় সরকার। এসব সুবিধার ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সার্কুলারে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোনো কিস্তি পরিশোধ না করলেও ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এ সময়ের মধ্যে ঋণ/বিনিয়োগের ওপর কোনোরকম দণ্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না। এসব কারণে চলতি বছরে দেশে খেলাপি ঋণ বাড়ছে না।
এছাড়াও ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমাতে সরকারের নির্দেশনায় পুনঃতফসিলে গণছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পায় ঋণখেলাপিরা। ফলে দেশে খেলাপি ঋণ বাড়ছে না।