Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন’ সংশোধনের আলটিমেটাম


৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৩০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নতুন সামুদ্রিক মৎস্য আইনকে মেরিন অফিসারদের স্বার্থবিরোধী, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদবিধ্বংসী ও আত্মঘাতী কলো আইন আখ্যা দিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন প্রতিরোধ কমিটি’।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে এ দাবি জানানো হয়। দাবি মানা না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেয় মেরিন ফিশিং ভ্যাসেল স্কিপার, মেরিন অফিসার ও নাবিকদের সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর আইনটি সংসদে পাস হয়। ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৯ নম্বর আইন হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামছুল ইসলাম রাশেদী। তিনি জানান, আইন প্রণয়নের আগে মেরিন ফিশিং জাহাজ মালিক সমিতি, মেরিন ফিশিং জাহাজ অফিসার সংগঠন, মেরিন ফিশিং জাহাজ নাবিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় কিংবা মতামত নেওয়া হয়নি। এ আইনে ফিশিং ভ্যাসেল নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের দায়িত্ব মহাপরিচালক পালন করবেন বলা হয়েছে। কিন্তু এ কর্মকর্তাদের নিয়োগ যোগ্যতা কী হবে এবং ফিশিং ভ্যাসেল মেরিটাইম যোগ্যতা থাকবে কিনা তা উল্লেখ নেই। তাই আইন বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

আইনের তৃতীয় অধ্যায়ের ১৮ নম্বর ধারা সংযুক্ত করে আইএমও নির্দেশিত ‘রুলস অব দ্য রোড এট সি’ অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ফিশিং মেরিনারদের সমন্বয়ে আইএমও, এফএও গাইডলাইনের আওতায় চতুর্থ অধ্যায়ের ধারাগুলো পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

আইনে ৮ম-১২তম অধ্যায়ের ৩২-৫৮ নম্বর ধারাগুলোতে অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর কিছু বিষয় তথা ফিশিং ভ্যাসেল মালিক, অপারেটর, স্কিপার, সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তিকে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ বা ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ দিয়ে যখন তখন হয়রানি, নাজেহাল, বিনা ওয়ারেন্টে দণ্ড ও জরিমানা করার মতো ক্ষমতা দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও বলেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন দোলন কুমার বড়ুয়া, বেইজ ক্যাপ্টেন মো. আলমগীর কামাল, মোরশেদ রশিদ আহমেদ, ইমরান হোসেন। এসময় চলাকালে প্রেসক্লাবের সামনে এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে কয়েকশ’ নাবিক মানববন্ধন করেন।

এদিকে সামুদ্রিক মৎস্য অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ রহিত করে সংশোধিত মৎস্য অধ্যাদেশ ২০২০ এর নতুন আইনের বিলের মধ্যে সাংঘর্ষিক বিষয় বিলুপ্তের দাবিতে আগামীকাল সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন পৃথক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে।

মৎস্য আইন প্রতিরোধ কমিটি সংশোধনের দাবি সামুদ্রিক মৎস্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন