‘করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো মহল যেন বাণিজ্য করতে না পারে’
১২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:১৮
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এমপি বলেছেন, ‘মহামারি করোনা প্রতিরোধে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বুকিং দিয়েছে সরকার। করোনা ভ্যাকসিন প্রত্যেককে দুটি করে ডোজ দিতে হয়। তাই ৩ কোটি ভ্যাকসিন ৩ কোটি মানুষ পাবেন নাকি দেড় কোটি মানুষ ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাবেন তা পারিষ্কার নয়।’
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।জি এম কাদের বলেন, ‘বাকি ১৪ থেকে ১৫ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা কি হবে দেশের মানুষ জানতে চায়। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন কিনতে পারবে না, সাধারণ মানুষ বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যেন কোনো মহল বাণিজ্য করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে। আবার নকল ভ্যাকসিনে যেন সয়লাব না হয়, সেজন্যও সতর্ক থাকতে হবে। করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তাই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও পরিবহনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা পরিস্কার নয়।’
তিনি আর বলেন, ‘প্রতিটি দুর্যোগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলা হয় সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সব কিছু এলোমেলো। তাই করোনা ভ্যাকসিন পরিবহন, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপণা নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারা টিকা পাবেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা জরুরি।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ক্ষমতায় এসে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেশের ছাত্র রাজনীতি কলুষিত করেছে। ছাত্র সংগঠনগুলোকে তাদের লেজুড়বৃত্তি করতে বাধ্য করেছে। ছাত্র সংগঠনগুলোকে পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। ছাত্রদের দলবাজী, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীতে জড়িয়ে পড়ার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দায়ী।’
জাতীয় ছাত্রসমাজ সভাপতি ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল বলেন, ‘ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের বাইরে সাধারণ ছাত্রদের দাবি আদায়ে জাতীয় ছাত্রসমাজ সব সময় সোচ্চার ভূমিকা রাখবে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ছাত্র সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে সবসময়। ’
জাতীয় ছাত্রসমাজ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ‘২৬ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু আবাসিক হলগুলো এখনো বন্ধ।’ পরীক্ষা শুরুর আগে হল খুলে দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. আব্দুস সালাম, মোস্তফা আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, মাখন সরকার, আনোয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, দফতর-২ এম এ রাজ্জাক খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক নুরু, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার গালিব, মো. ফারুক শেঠ, আলমগীর হোসেন ও মিজানুর রহমান দুলাল। জাতীয় ছাত্র সমাজ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শাহ ইমরান রিপন, মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, আরিফুল ইসলাম, ফয়সাল রানা, মো. রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, মো. সুলতান আহমেদ, এরশাদুল হক সিদ্দিকী, অর্ণব চৌধুরী, রাশেদুল হক খোকন, শাহাদৎ হোসেন রুপু, মো. জামাল হোসেন, শরিফ উদ্দিন, মির্জা সুমন আহমেদ, মো. ইউসুফ, সুবহান মজিদ বিদ্যুৎ, আতা ই রাব্বি তানভির, নজরুল ইসলাম, আল আমিন সরকার, শাহ আলম সবুজ, রুবেল মাহমুদ খান, মো. জাহাঙ্গীর সেলিম, ইমতিয়াজ আজিজ ড্যানি, মো. আরিফ আলী, কায়সারুজ্জামান হিমেল, মো. ইউসুফ আলী, মো. মাসদ অর রশীদ, তরিকুল ইসলাম, বিপ্লব দে, মো. হাবিবুল্লাহ, আতাউল্লাহ আরিফ, মাহমুদ হাসান অয়ন, মো. মুকুল হোসেন, ফকির আল মামুন, আবু সাঈদ লিয়ন, হোসেন আহমেদ রাকিব, মো. মোস্তফা সুমন, তানভির হোসেন সুমন, মো. আফজাল হোসেন, মাহমুবুর রহমান পরাগ, ফরহাদ আলী খোকন, মো. আফজাল হোসেন, মো. আশিকুর রহমান আশিক, মো. মিজানুর রহমান, মো. আশিকুর রহমান মোস্তফা, হাফিজ উদ্দিন। সংগঠনের সারাদেশের সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জাতীয় ছাত্রসমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান রেজা।