সিনহা হত্যার চার্জশিট দাখিল: ওসি প্রদীপসহ ১৫ জন আসামি
১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:২৭
ঢাকা: টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে আসামি করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. সিনহা রাশেদ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম আজ রোববার সকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারার আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
খায়রুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ১৪ আসামি ছাড়াও আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সারাবাংলাকে জানান, সিনহা হত্যা মামলায় র্যাবের চার্জশিট প্রস্তুত। আজ রোববার কক্সবাজারের আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। তবে চার্জশিটে কী রয়েছে, সে বিষয়ে তেমন কিছু বলতে রাজি হননি আশিক বিল্লাহ।
তবে র্যাবের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মেজর সিনহা হত্যার ঘটায় র্যাবের তদন্তে ওসি প্রদীপের নামই মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উঠে এসেছে। জানা গেছে, টেকনাফ থানায় বসেই তার নেতৃত্বে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে সিনহা হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ওসি প্রদীপসহ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোট ব্যক্তির সংখ্যা ১৫। এর মধ্যে বর্তমানে ১৪ জনই রয়েছেন কারাগারে।
গত ৩১ জুলাই রাত নয়টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মারা যান সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনা তদন্তে গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে একই দিন আরেক চিঠিতে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ‘আরও শক্তিশালী’ চার সদস্যের কমিটি করে দেওয়া হয়। একাধিক দফায় সময় নেওয়ার পর গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে ৮০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন দাখিল করে কমিটি।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ ৯ পুলিশকে আসামি করা হয়।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান কমান্ডো ট্রেনিংপ্রাপ্ত সাবেক এসএসএফ সদস্য। দুই বছর আগে তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। তিনি ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গে আরও তিন সঙ্গী ছিলেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার চার্জশিট পরিদর্শক লিয়াকত আলী মেজর মো. সিনহা রাশেদ