মূর্তি উপাসনার জন্য, ভাস্কর্য সংস্কৃতির অংশ: হাক্কানি আলেম সমাজ
১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:০০
ঢাকা: আজিজিয়া বাসেতিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল হাকিম চৌধুরী কাশিমপুরী বলেছেন, ‘ভাস্কর্য মানুষের পুরোনো শিল্পচর্চার মাধ্যম। ভাস্কর্যকে মূর্তি আখ্যা দেওয়া ঠিক নয়। মূর্তি উপাসনার জন্য। আর ভাস্কর্য হলো- শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অংশ।’
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হাক্কানি আলেম সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, ‘ধর্মের পাশাপাশি প্রত্যেকটা জাতির কিছু নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে। আরবদেরও নিজস্ব সংস্কৃতি আছে রয়েছে। বাঙালি হিসেবে আমাদেরও কিছু সংস্কৃতি আছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে। সৌদি আরবে বিভিন্ন প্রাণী, মানুষের অবয়ব ও দেহ কাঠামোর ভাস্কর্য আছে। এমনকি ইরানে আয়াতুল্লাহ খোমেনিরও ভাস্কর্য আছে। ইসলামী প্রজতন্ত্র পাকিস্তানে মোহম্মদ আলী জিন্নাহ এবং কবি ইকবালসহ বহু জনের ভাস্কর্য রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু আগে থেকেই ভাস্কর্য আছে। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য আছে। কিন্তু এই ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কথা কেউ কখনো বলেনি, বাধাও দেয়নি। হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে কেউ কেউ সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ তৈরি করতে চাচ্ছে।’
মো. আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, ‘যারা ভাস্কর্য বিরোধিতা করছে, তারাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিধর্মী এবং কাফের বলেছিল। ভাস্কর্যের মতো এক সময় ছবি তোলা এবং ইংরেজি শিক্ষাকেও হারাম বলা হয়েছিল। এমনকি পবিত্র হজে যাওয়ার সময় ছবি তোলা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো।’
‘ইসলামের জায়গা থেকে আমরা বলব, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উদার অসাম্প্রদায়িক নীতিতে আমরা ধর্মকে পালন করব। ধর্ম দিয়ে আমরা জাতিসত্ত্বাকে বাধাগ্রস্থ করব না। ধর্ম দিয়ে আমরা ফেতনা-ফাসাদ তৈরি করব না। ধর্মের দোহায় দিয়ে রাষ্ট্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করব না।’