ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার পেল ই-ক্যাব
১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:৫৫
ঢাকা: চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার পেয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। করোনাকালীন সময়ে নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার ও জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালের হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই পুরষ্কার তুলে দেন। সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নিত্যপণ্য সেবা চালু রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, লকডাউন এলাকায় জনসাধারণকে জরুরি সেবা প্রদান, ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রয় ও গরু জবাই করে বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া, অনলাইনে আমমেলার আয়োজন করে চাষী এবং উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবসেবার মাধ্যমে স্বল্পআয়ের হাজারো পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দল হিসেবে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদকের নামে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাবের সেবার কথা স্মরণ করেন এবং পুরষ্কার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে তারই পথ ধরে চলেছে আমাদের অগ্রযাত্রা। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর ঘোষনাই আজ তথ্য প্রযুক্তিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্ঠা সজিব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্ব ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাবের বিভিন্ন পদক্ষেপ এর কথাও তিনি তুলে ধরেন।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, এই অর্জন ই-ক্যাবের প্রতিটি কর্মী ও সদস্যের। সকলেই দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যবসার কথা না ভেবে মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে গেছে। তারই প্রতিদান হিসেবে মিলেছে মানুষের আস্থা। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরস্কার।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘টিম ই-ক্যাব বেশকিছু কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এটা হয়েছে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে। আশাকরি ভবিষ্যতেও ই-ক্যাব ও ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা দিয়ে মানুষের পাশে থাকবে।’
সরকারি বেসরকারি মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে ১৫ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও দলকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।