নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। ট্রলারডুবির ওই ঘটনায় এখনো ছয় শিশু ও এক নারী নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার টাংকির চর সংলগ্ন নদী থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের (ভোলা) ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া এবং স্টেশন রামগতি কর্তৃক চলমান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ দল লাশটি উদ্ধার করে। শিশুটি হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের মো. কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ হাছান (৭)।
এখনো যে সাত জন নিখোঁজ রয়েছেন তারা হলেন— হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের নাসির উদ্দিনের স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৫৫), একই গ্রামের মো. কাদেরের মেয়ে নারগিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা (৪), পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা বেগম (১), বয়ারচর গ্রামের ইলিয়াছ উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মহিন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) এবং একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (১)।
গত মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলার চানন্দী ঘাট থেকে আনুমানিক ৩০-৪০ জন যাত্রী নিয়ে কেয়ারিং চর পেরিয়ে টাঙিরঘাটের দক্ষিণ এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনাটি ঘটে। ওই দিনই নববধূ তাসলিমা বেগমসহ সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বাকিরা হলেন— নোয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে আফরিন আক্তার লামিয়া (২), একই গ্রামের আলমগীরের মেয়ে লিলি আক্তার (৮) ও আক্তার হোসেনের মেয়ে আছমা বেগম (১৯), হাতিয়ার কেরিংচরের নাছিরপুর গ্রামের কালাদুর বাজারের ফয়েজ উল্যাহ’র মেয়ে হোসনে আরা বেগম রুপা (৫), পূর্ব আজিম নগর গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০) ও একই গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী নূরজাহান (৬৫)।
সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ দলের নেতৃত্বে থাকা হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এস এম তাহসিন রহমান বলেন, ওই দুর্ঘটনায় মোট আট জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। আরও সাত জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধারে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ট্রলারডুবির পর নিখোঁজ আট জনের মধ্যে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার দিনের ছবি