বেসরকারিভাবে ১২০০ টাকায় পাওয়া যেতে পারে করোনার টিকা
২০ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:০৯
ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন পযর্ন্ত সবচেয়ে বেশি আলোচিত শব্দগুলোর একটি ‘ভ্যাকসিন’। বলা চলে, গোটা বিশ্ব উন্মুখ হয়ে আছে এই ভ্যাকসিনের জন্য। জনগণের জন্য টিকা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারও। একইসঙ্গে দেশে টিকা আনার পরিকল্পনা চলছে বেসরকারিভাবেও। এক্ষেত্রে প্রতি ডোজ টিকার দাম এক হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মতো হতে পারে বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ১০ লাখ ডোজ টিকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে দেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। বেসরকারিভাবে এই টিকা আনা হবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে দেশে বেসরকারিভাবে ১০ লাখ ডোজ টিকা আনার জন্য দাম পরিশোধ করা হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটকে। সরকারের পাশাপাশি এই টিকা দেশে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, ব্যাংকিং খাতে জড়িত কর্মকর্তারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন। সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী এই টিকা বিতরণ করা হবে। সেইসঙ্গে টিকা বিতরণের জন্য তালিকা তৈরির কাজও করা হবে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা খুবই অল্প পরিমাণে টিকা আনছি। এক্ষেত্রে এক মিলিয়ন ডোজ (১০ লাখ) আমরা আনব। যদি এরপরে ডিমান্ড হয় ও সরকার থেকে বলা হয় তখন হয়তোবা আরও আনব। সরকার ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যারা সম্মুখ সারিতে থেকে ভূমিকা রাখছে তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা বিতরণের একটা খসড়া পরিকল্পনা করেছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের করপোরেট লেভেলেও কিন্তু অনেক ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার আছে যারা ঝুঁকির মুখে থেকে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বেসরকারি খাত বিবেচনা করলে দেখা যাবে, আমাদের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির অনেক মানুষকে কিন্তু আমরা হারিয়েছি এই মহামারিতে। তারপরও আমরা কিন্তু একদিনের জন্যেও ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতে পারিনি। একইভাবে দেখা যায় ব্যাংক, গার্মেন্টস খাতের মানুষরাও কিন্তু কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণে প্রাথমিকভাবে এই ১০ লাখ ডোজ টিকা করপোরেট খাতে সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা করেছি। এক্ষেত্রে প্রথমে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিকে প্রাধান্য দিয়ে বাকিদের বিতরণ করা হবে।’
বেসরকারিভাবে আনা ভ্যাকসিনের মূল্য বিষয়ে রাব্বুর রেজা বলেন, ‘এর আগে আমরা গণমাধ্যমে ভ্যাকসিনের মূল্য বিষয়ে কথা বলেছিলাম। এক্ষেত্রে আমরা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আট ডলারে ভ্যাকসিন কিনবো। এটা আমাদের বাংলাদেশে যখন আসে তখন এর মূল্য নির্ধারণ করা সরকারিভাবে একটি নীতিমালা আছে। যেকোনো ইমপোর্টেড ভ্যাকসিন বা ওষধের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। আমরা যেটা আনব সেটার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ টাকার মতো। এক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে মূল্য নির্ধারণের জন্য আবেদন করতে হয়। আমদানির খরচ অনুপাতে দাম নির্ধারণ করে দেবে। সেই হিসেবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর আমাদের মূল্যের বিষয়ে অনুমতি দেবে। যতক্ষণ সেই মূল্য নির্ধারণ না হবে ততক্ষণ আসলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা মুশকিল। তাও আমরা হিসেব করে দেখেছি, এক হাজার ১০০ টাকা টিকার দাম পড়বে। টিকা দিতে ও সংরক্ষণে ১০০ টাকার মতো খরচ হবে। সব মিলিয়ে এক হাজার ২০০ টাকা রাখতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘দেশে আসার পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমোদিত কোনো ভ্যাকসিন সেন্টারের মাধ্যমে আমরা এগুলো বিতরণ করব। এই ভ্যাকসিন কিন্তু অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতো না। এখানে ডাটাবেইস ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সময় লাগে তার চেয়ে পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি সময় লাগে। আর তাই সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সেন্টারে যে প্রাইস ফিক্স করে দিবে সেটা কিন্তু যুক্ত হবে। আমি প্রাথমিকভাবে যে মূল্য বলেছি সেটি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দিবে। এরপরে সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন বিতরণের সময়ও কিন্তু একটি মূল্য দিতে হবে চার্জ বা ফি হিসেবে। সেক্ষেত্রে সেটি এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকার সঙ্গে যুক্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই ভ্যাকসিন সবাইকে দুইটা করে ডোজ দিতে হয় ২৮ দিন পরে। এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এক্ষেত্রে কাদেরকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সেই ডাটাবেইজ অবশ্যই সরকারের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। আপাতত আমরা এই পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমরা এক্সক্লুসিভলি করপোরেটভাবে বিতরণের জন্য আনছি। এরপরে সরকার যদি আরও বিতরণের জন্য বলে তখন আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করব। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের এটাই পরিকল্পনা।’
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে অক্সফোর্ডের টিকা আনার পরিকল্পনা থাকলেও জুনের দিকে আমেরিকার নেভোভ্যাক্স নামে আরেকটি করোনার টিকা আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এটাও সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হবে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এই টিকার মানবদেহে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরিকল্পনা করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে জুলাই থেকে নেভোভ্যাক্স আনার পরিকল্পনা রয়েছে বেক্সিমকোর।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘অক্সফোর্ডের পাশাপাশি আমেরিকার নেভোভ্যাক্সের টিকার বিষয়েও ভাবনা আছে। এটি যেহেতু এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে তাই আমরা আশাবাদী। এক্ষেত্রে যদি অনুমোদনের মতো অবস্থা হয় তবে সেটি নিয়েও ভাবনা হবে। আপাতত তাই অক্সফোর্ড ও নভোভ্যাক্সই আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’
এদিকে বেসরকারি আনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সরকার বেসরকারিভাবে করোনা টিকা আমদানির ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আর তাই অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসেনি। এছাড়া বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য কোনো আবেদনপত্র জমা পড়েনি। সরকারের পক্ষ থেকে দেশে টিকা বিতরণের জন্য তিন কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের টিকা আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে। এর বাইরে যদি কেউ বেসরকারিভাবে কেউ আনতে চায় তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ও স্টাডি লাগবে।’
এদিকে বেসরকারিভাবে টিকা আনা বিষয়ে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটির অন্যতম সদস্য ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে একটি খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে টিকা বিতরণের জন্য। তবে যদি কেউ বেসরকারিভাবে আনতে চায় সেক্ষেত্রে সেটি নিয়েও পরিকল্পনা করা যেতে পারে। আর তাই বেসরকারিভাবে আনা টিকার বিষয়ে সরকারি নীতিমালা ক্ষতিগ্রস্ত না করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, দেশে সরকারিভাবে ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ক্রয়চুক্তি সই করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার। প্রত্যেককে এই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ নিতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া আশা করছে বাংলাদেশ। আর এজন্য নেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। দেশে টিকা আনা, সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থাপনা নিয়েও নেওয়া হচ্ছে নানারকম পদক্ষেপ। সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট টাস্কফোর্স ইতোমধ্যেই টিকা দেওয়ার জন্য জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও মনিটরিং কমিটি গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পর্যায়ে তিনটি কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উপদেষ্টা করে গঠন করা হয়েছে কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে টিকা ব্যবস্থাপনা ওয়ার্কিং গ্রুপ। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটি।
কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটির অন্যতম সদস্য ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই জাতীয়ভাবে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি পরিকল্পনা বিষয়ে একটি প্রাথমিক খসড়া শেষ করা হয়েছে। খসড়া পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী চারটি ধাপে টিকা বিতরণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে দুই ধাপে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে দেশের মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশ অর্থাৎ ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮২ জন টিকা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৭ জন টিকা পাবেন।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে দুই ধাপে বিতরণ শেষে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা দেওয়া শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট জনসংখ্যার ১১ থেকে ২০ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮ জন টিকা পাবেন। তৃতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন দেশের মোট জনসংখ্যার ২১ থেকে ৪০ শতাংশ অর্থাৎ তিন কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৭ জন। চতুর্থ ও সর্বশেষ পর্যায়ে দেশের মোট ৪১ থেকে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ছয় কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪ জনকে টিকার আওতায় আনা হবে।
হার্ড ইমিউনিটির (গণরোগ প্রতিরোধক্ষমতা) কারণে বাকি ২০ শতাংশ মানুষের টিকা প্রয়োজন নাও পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন ডা. মোশতাক হোসেন।
১২০০ টাকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় করোনার টিকা দাম বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বেসরকারি ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা