বছরের শুরুতে তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সম্ভাবনা
২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:৪৯
ঢাকা: নতুন বছরের শুরুতেই এমপিওভুক্ত হতে পারেন বেসরকারি ডিগ্রি কলেজ পর্যায়ের তৃতীয় শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই, তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি শুরু হবে। ২০২১ সালের শুরুতেই এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি) জানাচ্ছে, নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এমপিওভুক্তির আবেদন আহ্বান করা হবে।
এদিকে, আনুষ্ঠানিক জনবল কাঠামোর বাইরে থাকায় ডিগ্রি পর্যায়ে তৃতীয় শিক্ষকরা এতদিন বেতনবিহীন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া সামান্য বেতনে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সারা দেশে এমন শিক্ষক রয়েছেন কয়েক হাজার। সংশোধিত নীতিমালায় তাদের ভাগ্য ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংশোধিত নীতিমালায় ডিগ্রি পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোতে বিষয়প্রতি দুইজনের পরিবর্তে তিনজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত করার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, এই নীতিমালা সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক মাধ্যমিক মাউশি’র অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশীদ আমিন সারাবাংলাকে বলেন, এমপিওভুক্তির নীতিমালায় প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিছু বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে, আবার কিছু যোগও হচ্ছে। সংশোধিত নীতিমালা আগের চেয়ে আরও সহজ করা হবে।
পাশাপাশি, মাউশি’র দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৃতীয় শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বলে জানান ওই অতিরিক্ত সচিব।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ তৃতীয় শিক্ষক পরিষদের (বাতৃশিপ) সাধারণ সম্পাদক রুমানা পারভীন সারাবাংলাকে বলেন, তারা কোনো বৈষম্য চান না। যোগ্যতা বলে একই পদে চাকরি করে সমান বেতন পাবেন না – এটা মেনে নিয়ে কাজ করাটা লজ্জার এবং অপমানের। তাই, সরকারের কাছে তারা এর প্রতিকার চেয়েছেন। তারা বিশ্বাস করেন, দায়িত্বশীল সরকার এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিগ্রি পর্যায়ে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে তারা নিয়মিত এমপিও’র আওতায় ছিলেন। তবে, সে ধারা বন্ধ হয়ে যায় ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর। সে সময় নন-এমপিও শিক্ষকদের জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা-২০১০ মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেখানে, বিষয়প্রতি দুই জনের বেশি শিক্ষককে এমপিও দেওয়ার নিয়মটি বাতিল করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে ঝুলে যায় তৃতীয় শিক্ষকদের ভাগ্য।