Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ


২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১১

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম/ ফাইল ছবি

ঢাকা: খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব— বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ— থার্টি ফার্স্ট নাইট-কে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে এ দুই দিন উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম ও কোনো পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়াও যাবে না।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ারটারসে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সকলকে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠানসমূহ সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। প্রচুর সংখ্যক লোক কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। তাই বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রকার অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো হবে।

থার্টি ফার্স্ট নাইট-এর নিরাপত্তা উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনো ক্রমেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সকল ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে— প্রতিটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য, প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া, মেটাল ডিটেক্টর এবং ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা, অনুষ্ঠান-স্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোন প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টুন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

এছাড়া মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিটি অনুষ্ঠান-স্থলের প্রবেশ পথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

সভায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

থার্টি ফাস্ট নাইট বড়দিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর