‘যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনই নয়’
২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:০৬
ঢাকা: যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন রূপের সংক্রমণ ছড়ালে দেশটির সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে অনেক দেশই। তবে এখনই বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন এই রূপের সংক্রমণ বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক বৈঠকে উপস্থিত আছেন তিনি।
আরও পড়ুন- যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, কতটুকু প্রস্তুত বাংলাদেশ?
এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ না করে সংক্রমণ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করেছে, তারা নিজেদের স্বার্থে বন্ধ করেছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতির কথা ভাবতে হবে। একইসঙ্গে অনেক মানুষ দেশের বাইরে থাকে। তাদের জন্য এয়ার কানেকক্টিভি দরকার আছে। এখন বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে, আমার মনে হয় না ফ্লাইট বন্ধ করার সময় এসেছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিমানবন্দর বন্ধের কোনো কারণ দেখা যায়নি। আর বিমানবন্দর বন্ধ করা হবেও না। তবে আমাদের কার্যক্রম প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ইস্যুতে বাংলাদেশ এখনো ফ্লাইট বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। শিগগিরিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন সংক্রমণ নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই চলছে আলোচনা। নতুন ধরনের এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার হার অনেক দ্রুত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি খুব বেশি প্রাণঘাতী বলে তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরও করোনার সংক্রমণ বেশি হওয়ার অর্থই হলো আরও বেশি মানুষের মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হওয়া। এ কারণেই ইউরোপের দেশগুলোর পর ভারত ও কানাডাও যুক্তরাজ্যে সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো জরুরি। এর জন্য প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করা যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠকে বসেছেন সংশ্লিষ্টরা। বেবিচক চেয়ারম্যান ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি হেলথ) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত আছেন। বিকেল ৫টার তথ্য বলছে, এই বৈঠক এখনো চলছে।
জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আরও কঠোর হয়েছি। নিয়ম মেনে সবাই ৭২ ঘণ্টার করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে আসছেন। না থাকলে বড় ধরনের জরিমানা করা হচ্ছে। তাই চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত আছে। কোনো এয়ারলাইন্স নিয়ম ভাঙলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনার নতুন রূপ ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত বেবিচক বেবিচক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট