‘চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলার সামিল’
২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৫২
ঢাকা: কিছু ব্যক্তির চুরি-দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে লোকসান হওয়ায় চিনিকল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘মাথা ব্যথা হলে কাটা কেটে ফেলার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বন্ধ ঘোষণা করা ছয়টি চিনিকল অবিলম্বে চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অব্যবস্থাপনা এবং চুরি-দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে চিনিকল লোকসানে চলে। অথচ এর জন্য দায়ীদের ধরা হচ্ছে না। উল্টো চিনিকল বন্ধ করা হচ্ছে। এভাবে জাতীয় একটি শিল্প খাতকে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। এই শিল্প বন্ধ করে দেওয়া মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার সামিল।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আখ চাষি ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ভরা মৌসুমে আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তে ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হলো। এতে করে আখ চাষি ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীকে চরম দুরবাস্থায় পড়তে হয়েছে। করোনার এই দুর্যোগে চাষি ও শ্রমিকদের সঙ্গে এই নিষ্ঠুরতা মেনে নেওয়া যায় না। জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল কোনো সরকার এভাবে দেশের ঐতিহ্যবাহী চিনি শিল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে না।
ক্ষোভের সঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চিনিকলগুলোর আজকের অবস্থার জন্য দায়ী সুগার করপোরেশনসহ চিনিকলগুলোর ব্যবস্থাপকরা। অথচ তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এটা ‘মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার সামিল’।
চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকারেরভিত্তিতে চিনিকলের পুনরুজ্জীবনের দাবি জানান সাইফুল হক। একইসঙ্গে আখ চাষি ও শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া টাকা পরিশোধ, আখের দাম মনপ্রতি ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং আখচাষী ইউনিয়নের ১৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
আখ চাষি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আখ চাষি নেতা আনছার আলী দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান মিলন, রবি হাসান ফখরি, স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোনে, বিপ্লবী কৃষক সংহতির সাধারণ সম্পাদক সিকদার হারুনর রশীদ মাহমুদসহ অন্যরা।
আখ চাষি আখ চাষি ইউনিয়ন চিনি শিল্প চিনিকল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাইফুল হক