।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তিদের মানসিক চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৭মার্চ) সকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম বার্ন ইউনিটে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তিনি আহতদের কাছ থেকে দুর্ঘটনার বর্ণনা শুনতে নিষেধ করেন।
ড. ফারুক আলম ঘুরে যাওয়ার পরে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, আহতদের সব ধরণের চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকালে মানসিক ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের দেখে গেছেন। নেপালে আরও পাঁচজন আহত রয়েছেন। এর মধ্যে রুবায়েত রশীদকে আজ দেশে আনা হবে। আগামীকাল কবির হেসেন ও শাহীন ব্যাপারী দেশে আসবেন। বাকি দুই জনের মধ্যে ইমরানা কবীরকে তার পরিবার দিল্লীতে নিয়ে যাবে। আর ইয়াকুব আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে নেপালে রেখেই চিকিৎসা করাবে তার পরিবার।
আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার পর্যন্ত মৃত ৪৯ জনের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। আজ থেকে পরিচয় সনাক্ত করা শুরু হবে। পাসপোর্ট অফিস থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ দেখে কেউ পরিচয় সনাক্ত করতে পারলে তাদের মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তা না হলে ডিএনএ টেস্টের পর তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসাইন, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, অধ্যাপক আবুল কালাম ও ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
সারাবাংলা/এসএসআর/আইএ