‘ভারত তাদের সুবিধা মতো বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করে’
৩ জানুয়ারি ২০২১ ২০:১৯
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত তাদের সুবিধা মতো বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করে এবং বন্ধ করে দেয়। সে কারণেই পেঁয়াজে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নতমানের বিজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদনকারীদের উৎসাহ প্রদান করে দ্রুত পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৪-৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ভোক্তা এবং উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগের এলসি করা পেঁয়াজ এখন দেশে প্রবেশ করছে। এগুলোর বর্তমান আমদানি মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ টাকা। নতুন আমদানির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে আগামী মার্চে। এর মধ্যে কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। বর্তমানে দেশে ৮-৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। সরকার পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে। আশা করা যায়, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ সম্পন্ন হবে। পেঁয়াজের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাজারে আলুর দর নেমে এসছে। এর আগে বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে আলু বিক্রি করেছে। আলুর মূল্য এখন স্বাভাবিক। ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। এটি একটি আমদানি নির্ভর পণ্য। সে কারণেই বাংলাদেশে এর সাময়িক প্রভাব পড়েছে। তবে, অসৎ উপায়ে যাতে পণ্যের দাম কেউ বাড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের চালের মজুত কিছুটা কম রয়েছে। সেজন্য সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে চাল আমদানি শুরুও হয়েছে। প্রয়োজনীয় মজুত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চাল সরকার আমদানি করবে। প্রয়োজনে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে।’