Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভ্যাকসিন কিনতে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকার প্রকল্প উঠছে একনেকে


৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:০০

ঢাকা: একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) উঠছে ভ্যাকসিন ক্রয় প্রকল্প। এক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ক্রয় ও সংরক্ষণ বাবদ খরচ হবে মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। তবে চলমান একটি প্রকল্পের সঙ্গে এই ব্যয় যুক্ত করায় প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে প্রকল্প প্রস্তাবে ভ্যাকসিনের সংখ্যা ও এককমূল্য উল্লেখ করা হয়নি।

আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত থাকবেন। আর শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

‘কোভিড -১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডামিক প্রিপারেডেন্সে প্রকল্পের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আশা করছি মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) টেবিলে উঠবে এ প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব। পরিকল্পনা কমিশন থেকে প্রকল্পের কিছু সংশোধনের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। এখন সব কিছু ঠিক করে পরিকল্পনা কমিশনের ফরওয়ার্ডসহ একনেকে উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হচ্ছে।’

সূত্র জানায়, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের জরুরি ঋণ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছিল। সেই সময় প্রকল্পটি খুব জরুরি বিবেচনায় দ্রুত অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়তে থাকায় কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি), বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের কো লেন্ডিং করতে সম্মত হয়েছে হয়েছে। যা এ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে।

তাছাড়া প্রকল্প সংশোধনের প্রধান কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনা বাবদ কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৮১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ এবং বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবি ঋণ ৬ হাজার ৬০৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। এপ্রিল ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রথম সংশোধন করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, তবে ভ্যাকসিন কেনা বাবদ ব্যয় কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করার জন্যস্বাস্থ্য অধিদফতরকে পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। কোন দেশ থেকে কী উপায়ে কতদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তা কোন নিয়ম অনুসরণ করে দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে একটি সমন্বিত ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (আরডিপিপি) সংযুক্ত করা জরুরি বলে মনে করে কমিশন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পরিকল্পনা কমিশনকে অবগত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমোদিত নীতিমালা সর্বসাধারণের বোধগম্যভাবে সারসংক্ষেপ আকারে প্রণয়ন এবং ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার একটি সহজবোধ্য ফ্লো-চার্ট ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিটা উপজেলায় ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে প্রচারের জন্য ব্যানার, মাইকিং ও প্রকাশনা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য একটি করে মোট দু’টি মোবাইল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ভ্যানের সংস্থান রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দ্বৈততা পরিহারপূর্বক গঠিত ১০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ১০টি জেলায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যাবস্থপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

একনেক টপ নিউজ ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন ক্রয় ভ্যাকসিন ক্রয় প্রকল্প


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর