চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত, ইরফান প্রসঙ্গে র্যাব
৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:০২
ঢাকা: সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কমিশনার ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে হাতে পেলে র্যাব পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতে দেওয়া পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে র্যাব নারাজি দিবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর অস্ত্র ও মাদক আইনে র্যাবের দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে ৩ জানুয়ারি চকবাজার থানা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে পুলিশ ইরফান সেলিমের অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পায়নি উল্লেখ করে দায় মুক্তির সুপারিশও করে।
পুলিশের এমন তদন্ত প্রতিবেদনে র্যাব সন্তুষ্ট নাকি নারাজি দিবে এমন প্রশ্নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতের আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে যে সব মালামাল পাওয়া যায় বিশেষ করে ওয়াকিটকি। এসবের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মামলার বাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।’
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন ইফরান সেলমিকে দায়মুক্তি দেওয়ায় র্যাবের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র্যাব যে অভিযানটি পরিচালনা করেছিল সে সময় ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অভিযানে যেসব আলামত পাওয়া গিয়েছিল তার ভিত্তিতে মামলাগুলো করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা যেসব বিষয় বিবেচনা করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে র্যাব অবহিত নয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ওনার বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে যা পেয়েছেন তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।’
‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল’
জনগণ পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন নাকি র্যাবের অভিযানকে বিশ্বাস করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র্যাব বাংলাদেশ পুলিশেরই একটি বিশেষায়িত বাহিনী। অর্থাৎ বাংলাদেশ পুলিশের যেসব শাখা আছে তার মধ্যে র্যাব অন্যতম। এরকম একটি বাস্তবতায় আমরা অভিযানে যেসব আলামত ও মালামাল পেয়েছি সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
‘এছাড়া র্যাব যেসব অভিযান পরিচালনা করে সে সব অভিযানে সাক্ষীদের উপস্থিততে যা আলামত পাওয়া যায় তা পুলিশ কর্মকর্তারা এজাহারে উল্লেখ করেন। এসময় যে ঘটনা ঘটে তার বাস্তবতার ওপর ভিত্তিকে করে মামলা করা হয়। সুতরাং র্যাবের সব কার্যক্রম এক ধরনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে পরিলক্ষিত থাকে। এ বাস্তবতায় র্যাব নিরপেক্ষ ও চাপমুক্তভাবে অভিযান পরিচালনা করে’, বলেন তিনি।
পুলিশের তদন্ত প্রশ্নবিদ্ধ কিনা জিজ্ঞাসা করলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের তদন্তের বিষয়ে র্যাব মনে করে, পুলিশের যারা তদন্ত করেছেন তারা এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারবেন।’