January 5, 2021 | 1:41 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব সদর দফতরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘র্যাব সেবা সপ্তাহ’ ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান র্যাব ডিজি।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করছি। তবে পুলিশ যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তা নিয়ে আমাদের আপাতত কোনো মন্তব্য নেই। এটা আদালতের বিষয়।’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ, মদীনা ডেভেলপারসের প্রটকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করা হয়।
পরে ২৬ অক্টোবর দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র্যাব ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দু’জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে ২৭ অক্টোবর চতবাজার থানায় র্যাব বাদী হয়ে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে।
এসব মামলা দায়েরের প্রায় দুই মাস পর গত ৩ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চকবাজার থানা পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনে ইরফান সেলিমের অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে তাকে দায়মুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) ডিএমপির লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কুদরত-ই খুদা জানান, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে ইমরান সেলিমের কাছে কোনো অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এ অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে। তাই প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের এই বক্তব্যের বিষয়ে র্যাব ডিজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা যা কিছু পেয়েছি তার ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে। এটি সুস্পষ্ট। অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলেই মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কি প্রতিবেদন দিয়েছে তা নিয়ে আমরা আপাতত কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। এটা আদালত দেখবে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’
সারাবাংলা/এসএইচ/এমও