বৌভাতে মাংস কম দেওয়ায় সংঘর্ষ: বরের চাচা নিহত, কনেসহ আটক ১২
৬ জানুয়ারি ২০২১ ১২:০৪
বরিশাল: বাবুগঞ্জে বৌভাতের অনুষ্ঠানে কনেপক্ষের লোকজনকে মাংস কম দেওয়া ও দিতে দেরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কনেপক্ষের পিটুনিতে বরের চাচা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উভয়পক্ষে কমপক্ষে ৫০ জন কমবেশি আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের পর কনে ও তার বাবাসহ ১২ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রফিয়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আজাহার আলী মীর (৬৫)। তিনি রফিয়াদী গ্রামের মৃত মৌজে আলী মীরের ছেলে ও বিয়ের পাত্র সজীব মীরের চাচা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রফিয়াদী গ্রামের সজীব মীরের সঙ্গে বরিশালের কাউনিয়া সাবান ফ্যাক্টরি এলাকার আবুল কালাম হাওলাদারের মেয়ে রুনা আক্তারের বিয়ে হয় গত শুক্রবার। বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার দুপুরে কাউনিয়া এলাকা থেকে কনেপক্ষের অর্ধশতাধিক মেহমান বরের বাড়িতে আসেন।
স্থানীয় চাঁদপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফারুকুল ইসলাম জানান, বৌভাতের খাবার পরিবেশনের সময় কনেপক্ষের একটি টেবিলে মাংস দিতে দেরি করায় বাদানুবাদের একপর্যায়ে খাবার পরিবেশনকারীর ওপর হামলা চালায় কনেপক্ষের লোকজন। এ সময় বরের চাচা আজাহার আলী মীর তাদের থামাতে গেলে তাকেও বেধড়ক পেটানো শুরু করে কনে পক্ষের উত্তেজিত অতিথিরা। আজাহার আলী মীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হলে বিয়ে বাড়ি মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সৈয়দ ফারুকুল ইসলামসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বৌভাতের মঞ্চ ছেড়ে অতিথিদের সঙ্গে নববধূ রুনা আক্তার নিজেও মারপিটে অংশগ্রহণ করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পাত্রপক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীরা মিলে নববধূ রুনা আক্তার ও তার বাবা আবুল কালাম হাওলাদারসহ কনে পক্ষের ১২ জনকে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে বিমানবন্দর থানায় খবর দিলে পুলিশ সন্ধ্যায় আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কনে পক্ষের ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।