নেত্রকোনায় ঘর পাচ্ছে ৯৬০ ভূমিহীন পরিবার
১১ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৪৪
নেত্রকোনা: ভিক্ষা করে পরিবার চালান অন্ধ ফজরবানু (৬৫)। বাস করেন সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের এক ব্যক্তির আশ্রয়ে। নিজের ঘর বা জমি বলতে কিছুই নেই তার। সেই ফজরবানু এখন আধাপাকা ঘর পাচ্ছেন। পাচ্ছেন এক টুকরো জমিও। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গৃহীত ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রম’ এর আওতায় এ জমি ও ঘর পাচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, তার মতোই ঘর পাচ্ছে জেলার মোট ৯৬০ ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র পরিবার। এছাড়াও প্রত্যেকের নামে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দুই শতক করে খাসজমি। ঘর নির্মাণ বাবদ ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার করে টাকা- যার পুরোটাই বহন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর ও জমি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ জন্য ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যেকটি ঘরের নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এরশাদুল আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যেই ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা এনামূল হক পলাশ বলেন, বাছাই করা পরিবারগুলো শুধু ভূমিহীন বা গৃহহীন নয়, প্রত্যেকেই হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষ। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিবিড় যাচাইবাছাই করে এসব পরিবার বাছাই করা হয়েছে।
ঘর ও জমি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এসব পরিবার। সদর উপজেলার কাটলী গ্রামের ললিতা বেগম কাগজ কুড়িয়ে সংসার চালান। কমলপুরের আব্দুল কুদ্দুছ সংসার চালান রিকশা চালিয়ে। তাদের নিজের জায়গা-জমি কিছুই নেই। ললিতা একটি বস্তিতে আর আব্দুল কুদ্দুছ অন্যের বাড়িতে থাকতেন। তারা দুজনই সদর উপজেলার বড়গাড়ায় পুনর্বাসিত হচ্ছেন।
ললিতা ও আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিবের দুক্ষু বুজুইন। কার ঘর নাই, কার জমি নাই, সব খবর রাখুইন। আল্লাহ যেন উনারে ভেস্তে নেইন এই দোয়া দিনরাতই করি।