করোনার ভয়ে বিমানবন্দরেই ৩ মাস
১৮ জানুয়ারি ২০২১ ২২:০০
করোনা সংক্রমণের ভয়ে বিমান ধরে বাড়ি না ফিরে, বন্দরেই তিন মাস কাটিয়ে দিয়েছেন আদিত্য সিং।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিমানবন্দরে আদিত্য’র অবস্থানের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আইনজীবির মারফত ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বিষয়টি জানতে পেরেছে।
এ ব্যাপারে বিবিসি জানিয়েছে, সন্দেহজনক অবস্থানের কারণে আদিত্যকে এয়ারলাইন্সের একজন কর্মী পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। তখন তিনি একটি ব্যাজ দেখান। যে ব্যাজটি আসলে বিমানবন্দরের একজন অপারেশনস ম্যানেজারের। যা, ২০২০ সালের অক্টোবরে হারিয়েছিল। সেই কথা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিলেন ওই ম্যানেজার।
পরে, আদিত্যকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি জানান – ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শিকাগো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। কিন্তু মহামারির মধ্যে আর ফ্লাইটে চড়ার সাহস করতে না পারেননি। তাই, গোপনে বিমানবন্দরেরই প্রবেশ সংরক্ষিত একটি এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখানেই তিন মাস কাটিয়ে দেন তিনি।
ওদিকে, স্থানীয় শিকাগো ট্রিবিউন পত্রিকাকে রাজ্যের সহকারী অ্যাটর্নি ক্যাথলিন হ্যাগের্টি বলেন, করোনার কারণে তিনি (আদিত্য) বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছিলেন। যাত্রীদের দেওয়া খাবার খেয়েই আদিত্য তিন মাস কাটিয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
আদিত্যকে আদালতে হাজির করা হলে এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কুক কাউন্টির বিচারক সুসানা ওর্তিজ।
তিনি আদিত্যকে জিজ্ঞাসা করেন, আসলেই আপনি বিমানবন্দরের স্টাফ না হয়েও টার্মিনালের প্রবেশ সংরক্ষিত অংশে ১৯ অক্টোবর ২০২০ থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত অবস্থান করেছেন? এবং কেউ আপনাকে সন্দেহ করেনি?
অধিকতর তদন্ত শেষে পুলিশ জানতে পেরেছে, আদিত্য লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি শহরতলীতে বাস করেন। অতীতে তার অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। তবে, কেন তিনি শিকাগো গিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, তার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত এলাকায় গুরুতর অপরাধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এক হাজার মার্কিন ডলার জামানতের বিনিময়ে তিনি জামিন পেলেও আর বিমানবন্দরে ঢুকতে পারবেন না।
পাশাপাশি, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত। শুনানিতে বিচারক বলেছেন – এই ব্যক্তি যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারতেন। শিকাগোর বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
সারাবাংলা/একেএম