Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুবি উপাচার্যের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বাকবিতণ্ডা

খুবি করেসপন্ডেন্ট
১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:২৩

খুবি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শতাধিক কর্মকর্তা তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করে উপাচার্যের বাসভসনের দিকে যাত্রা করেছেন। কর্মকতাদের প্রারম্ভিক বেতন স্কেল পুননির্ধারণ, অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন ও সকল দফতরে প্রধানসহ নন টিচিং পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করণসহ আট দফা দাবিতে এ যাত্রা করেন তারা। এ সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যের সঙ্গে উত্তেজিত কর্মকর্তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এ সকল দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলেও প্রশাসনের আশ্বাসে তারা এতদিন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেননি।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ২টায় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের মুখপাত্রদের নিয়ে হঠাৎ কর্মকতারা কর্মস্থল ত্যাগ করে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। তবে পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে সরে এসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

কর্মকর্তাদের দাবি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক এক রকম নীতিমালা হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। উপরোক্ত তিনটি দাবি ছাড়াও ফেডারেশনের আট দফা দাবিসমূহ হলো- কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বয়সে উন্নীতকরণ, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কর্মকর্তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সভায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার শতাংশ সরলসুদে করপোরেট ঋণ প্রদান, কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা এবং কর্মকর্তাদের চাকরিকালের অভিজ্ঞতা গণনা করা।

এ সময় বিশ্বদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বাসভবন থেকে বেরিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন কক্ষে বসে আলোচনার আহ্বান জানান। এর একপর্যায়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মো. মোর্শেদুর রহমান ও ফেডারেশনের অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দদের সঙ্গে উপাচার্যের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উপাচার্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা সম্মেলন কক্ষে আলোচনার জন্য রাজি হয়।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা শেষে খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান উপাচার্যের দুই মেয়াদেও আমাদের দাবি দাওয়া পূরণ হয়নি। আমরা আশাবাদী ছিলাম তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অন্তত কর্মকতাদের থার্ড আপগ্রেডেশন হবে।

এ সময় ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, আমরা তাদের মেহমান। কিন্তু উপাচার্য হিসেবে তিনি আমাদের সঙ্গে উপাচার্যসুলভ আচরণ করেননি বরং উনি মাস্তান পুষছেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ফেডারেশনের মুখপাত্র ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকতারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা নিয়ে যেভাবে হৈচৈ এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর। আর দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে গঠিত কমিটি দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করলে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হবো।

এদিকে পরবর্তী মিটিংয়ে দাবি-দাওয়া আদায় না হলে নতুন কর্মসূচি গ্রুহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালেয়ের বিক্ষোভকারী কমকর্তারা।

সারাবাংলা/এনএস

আট দফা দাবি কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর