বিতরণ ব্যয় বাদে বাকি টাকা পেট্রোবাংলাকে হস্তান্তরের নির্দেশ
১৯ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:১২
ঢাকা: বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের ডিস্ট্রিবিউশন চার্জ বা বিতরণ ব্যয় রেখে গ্যাস বিলের অন্য অর্থ পেট্রোবাংলাকে হস্তান্তর করার নিয়ম জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। গ্যাস খাতের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত শনিবার (১৭ জানুয়ারি) এমন এক আদেশ জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তাদের আদায় হওয়া বিলের নিজেদের অংশ রেখে বাকি অর্থ পেট্রোবাংলাকে হস্তান্তর করবে। পেট্রোবাংলার যে দেনা রয়েছে, তা পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে শুরু করবে।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গ্যাস খাতের আর্থিক সংকট কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে এ খাতে আর্থিক শৃঙ্খলাও ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো দেশি-বিদেশি গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ করে থাকে। এলএনজির দর পরিশোধে নির্দিষ্ট আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও দেশি বিদেশি যেসব কোম্পানি দেশে গ্যাস উত্তোলন করে, তাদের বিল বকেয়া থাকে। এতে আর্থিক সংকট তৈরি হয়। নতুন এই উদ্যোগের ফলে এই সংকট সমাধান হবে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, সমস্যা সমাধানের কোনো সংকট তৈরি হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সঙ্গে পেট্রোবাংলা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন এবং আমদানি মূল্য, যার মধ্যে বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (এসজিএফসিএল), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স), আইওসি এবং এলএনজির মূল্য অন্তর্ভুক্ত। এই মূল্য পেট্রোবাংলার মাধ্যমে সরকার নির্ধারণ করে। অন্যদিকে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে বিইআরসি। এর মধ্যে ট্রান্সমিশন চার্জ, ডিস্ট্রিবিউশন চার্জ, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ও পেট্রোবাংলার চার্জ রয়েছে। এ খাতের সব অর্থ এখন পেট্রোবাংলার কাছে জমা হবে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
গ্যাস বিতরণ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি জ্বালানি বিভাগ পেট্রোবাংলা বিতরণ ব্যয় বিতরণ ব্যয় ছাড়া বাকি টাকা