ঢাকা মহানগরীতে ‘প্রাইভেট সিএনজি’ ভাড়ায় চালানো যাবে না
২০ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:৩৫
ঢাকা: ঢাকা মহানগরীতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের নিবন্ধন নিয়ে সিএনজি চালিত ‘প্রাইভেট অটোরিকশা’ ভাড়ায় চালানো যাবে না। শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নিবন্ধনধারী সিএনজি অটোরিকশা ভাড়ায় চালানো যাবে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট এ রায় দেয়।
২০১৬ সালে প্রাইভেট সিএনজি অটোরিকশা ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুলটি জারি করেছিল।
মঙ্গলবার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে রুলের শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও মনিরুজ্জামান আসাদ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম। সড়ক ও যোগাযোগ সচিবের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রুল খারিজ করে রায়ের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রাফিউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে এতদিন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যেসব সিএনজি ঢাকা মহানগর এলাকায় চলছিল, রুল খারিজ হওয়ায় সে নির্দেশনাটিও বাতিল হয়ে গেছে। ফলে প্রাইভেট সিএনজি চলাচল করতে পারবে না। তবে বিআরটিএ’র আইনে ঢাকা মহানগরীতে প্রাইভেট সিএনজি অটোরিকশা বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের অনুমতি কখনো ছিল না। আদালত সাময়িকভাবে তাদের অনুমতি দিয়েছিল।`
২০০১ সালে পরিবেশ দূষণের কারণে ঢাকা শহরে ‘টু স্ট্রোক’ বেবিট্যাক্সি নিষিদ্ধ করার পর বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের জন্য ‘ফোর স্ট্রোক’ থ্রি হুইলার অটোরিকশা (সিএনজি) চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। ওই সময় ভারতের বাজাজ কোম্পানির ১৩ হাজার অটোরিকশা (সিএনজি) আমদানি করে উত্তরা মটরসসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সেই ১৩ হাজার অটোরিকশাই (ঢাকা মেট্রো-থ) নিবন্ধন দেয় বিআরটিএ। তার আগে ঢাকা শহরে ৩৫ হাজার বেবিট্যাক্সি চলাচল করত।
২০০৯ সাল থেকে ২০১২ নাগাদ বিআরটিএ আরও ৩ হাজার ৯৫৭টি ‘ফোর স্ট্রোক’ অটোরিকশা ব্যক্তি মালিকানায় চলাচলের জন্য নিবন্ধন দেয়।
যদিও সিএনজি/পেট্রোলচালিত ফোর স্ট্রোক থ্রি হুইলার্স সার্ভিস নীতিমালা-২০০৭ অনুযায়ী ঢাকা মহানগর এলাকায় ‘ফোর স্ট্রোক’ থ্রি হুইলার (ঢাকা-দ) ব্যক্তি মালিকানায় চলাচলের সুযোগ নেই।
ব্যক্তি মালিকানায় নিবন্ধন পাওয়া অটোরিকশার মালিকরা পরে বাণিজ্যিক নিবন্ধন পেতে বিআরটিএর কাছে দাবি জানায়। কিন্তু সরকারের সাড়া না পেয়ে ২০১৬ সালে প্রাইভেট সিএনজি অটোরিকশা ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৭ জুলাই রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তাতে ওই অটোরিকশাগুলোকে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি অনুমতি না দেওয়া অবধি ব্যক্তিগত অটোরিকশাগুলোকে ঢাকা মহানগরে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে চলাচলে বাধা না নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআরটিএ’র আবেদনে সেই রুলই খারিজের রায় হলো।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম
