Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ছাত্র খুনে আরেক ভারতীয় ছাত্র রিমান্ডে


১৮ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৭

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ভারতীয় শিক্ষার্থী মো.আতেফ শেখ (২৪) খুনের ঘটনায় একই দেশের আরেক শিক্ষার্থী মাইসনাম উইনসন শিংকে (২৪) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ডিএনএ পরীক্ষায় উইনসন খুনি হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর খুনের কারণ জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিল মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রোববার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো.শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার তিন দিনের রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানির সময় উইনসনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক (চট্টগ্রাম মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা।

২০১৭ সালের ১৪ জুলাই রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার আব্দুল হামিদ রোডে লেকভিউ সোসাইটির হাজী ইউসুফ ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ গলাকাটা অবস্থায় আতেফ শেখ এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করে গুরুতর আহত উইনসনকে উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আতেফকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাদের সহপাঠী নিরাজকে এসময় পুলিশ আটক করে। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর উইনসনকে মামলায় গ্রেফতার দেখায় পিবিআই।

আতেফ শেখ ভারতের মণিপুর রাজ্যের আব্দুল হামিদ ও ফারেতোজান শেখের ছেলে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং (ইউএসটিসি) এর এমবিবিএস এর ছাত্র ছিল সে।

পিবিআইয়ের এক অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই ফ্ল্যাটে মদের পার্টির আয়োজন করেন আতেফ ও তার বন্ধুরা। বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন মাইনসাম উইনসন শিং, গানঞ্জমাই নীরাজ, তোঙ্গবরম জয়েস্তানা দেবী, প্রভাকর লাইসরাম, মালেমনগনবা মায়েংবাম, অথোকপাম রোনাল্ড, প্রমোশ চাকমা টুকু এবং সজল চাকমা মুন। এরা সবাই ইউএসটিসির বিভিন্ন বিভাগের ভারতীয় ছাত্র। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টা ৫০ মিনিটের মধ্যে উইনসন শিংয়ের কক্ষে খুন হয়েছেন আতেফ।

অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্ট, ডিএনএ রিপোর্ট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত হয়েছেন, প্রধান সন্দেহভাজন আসামি মাইনসাম উইনসন শিং ছোরা ব্যবহার করে আতেফ শেখকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর আবেগতাড়িত হয়ে নিজের ব্যবহৃত প্যান্টের বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

ঘটনার ছয়দিনের মাথায় গত বছরের ২০ জুলাই মামলাটির তদন্তভার আসে পিবিআই’র কাছে। এরপর কয়েক দফা উইনসনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু প্রতিবারই উইনসন ঘটনার বিষয়ে কিছু মনে করতে না পারার কথা জানায়। পরে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে তার মধ্যে কোন সমস্যা না থাকার কথা বলার পরও উইনসন বিষয়টি অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ আদালত ডিএনএ পরীক্ষার অনুমোদন দেয়। গত ৮ মার্চ সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের ডিএনএ পরীক্ষক মো.হারুন-অর-রশিদ পিবিআইয়ের কাছে পরীক্ষা প্রতিবেদন পাঠায় যাতে খুনি সাব্যস্ত হয়েছেন উইনসন।

সারাবাংলা/আরডি/ এমএইচ/এমএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর