‘যেখানেই যাই সেখানেই দখল’
২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৩৬
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উন্নয়নে যেখানেই কাজ শুরু করতে যাওয়া হয় সেখানেই অবৈধ স্থাপনা বা দখল পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অবৈধভাবে জায়গা দখলের বিষয়টি এরপর থেকে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে তদারকি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুর-১১ নম্বরের উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরে যেটাই ধরি সেটাই অবৈধ। যে সড়কে যাই সেখানেই অবৈধ দখল। যে খালে যাই, তার দুই পাড়ে অবৈধ দখল। অবৈধ দখলের ভীড়ে আমরা যারা বৈধ আছি তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছি। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী হতে হবে।’
অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর আবারও দখল হয়ে যায়। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি জানতে চাইলে ড্রোন ব্যবহারের কথা জানান আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কোথাও উচ্ছেদ অভিযানের পর আবার দখল হচ্ছে কি না সে বিষয়টি মনিটরিং করতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। বিশেষ করে খালের দুই পাড়ের মনিটরিং এ ব্যবহৃত হবে ড্রোন। কারণ সব জায়গায় কিন্তু সবসময় যাওয়া যায় না। তাই ড্রোন দিয়ে দেখা হবে যে আবার দখল হয়েছে কি না। সেজন্য এটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেখান থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। আমরা ডিজিটাল হতে চাই।’
মিরপুর ১১ নম্বরের ৩ নম্বর এভিনিউ এর ৪ নম্বর সড়ক থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সুন্দর করে রাস্তা নির্মাণে ইতোমধ্যে ৩০ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছেন বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, ‘এই সড়কটি যোগাযোগের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি সর্বনিম্ন ৬০ ফিট থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ ফিট পর্যন্ত চওড়া হবে। এটি সুন্দর করে নির্মাণ করার জন্য ইতোমধ্যে আমি ৩০ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছি। এই টাকা দিয়েই সড়কটি সুন্দর করে নির্মাণ করা হবে। গতকাল এবং আজ উচ্ছেদ অভিযান চলছে। গতকাল ৮৫ শতাংশ উচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছিল। আজ বাকিটা হবে। প্রয়োজন হলে কাল আবার উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’
উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ডিএনসিসি মেয়র।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএসএ