বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না: গোলাম দস্তগীর গাজী
২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:১১
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য একই সময়ে এত বিপুল সংখ্যক ঘর দেওয়া সারা পৃথিবীতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে জমি ও ঘরের চাবি এবং জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নময় বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এটি একটি দৃঢ় পদক্ষেপ উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘরগুলো উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকারভোগীদের প্রত্যেককে প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ দিয়েছেন। তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মানসম্মতভাবে বাঁচার অধিকার দিয়েছেন। এজন্য রূপগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আশ্রয়ণ প্রকল্প চালু করেছিলেন। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের নিয়ে এসে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে রূপগঞ্জের চনপাড়ায় ওয়াসার জায়গায় তাদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু সময় পাননি তাদের জমিগুলোর মালিকানা বুঝিয়ে দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এখন যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছেন তারা জমির মালিকানা পাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ চনপাড়ায় রেখে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে। চনপাড়ায় যারা বসবাস করছেন তাদের দখলদারির ভিত্তিতে তাদের স্থায়ী করা এবং জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হোক। সরকারের কাছে এটা আমার দাবি।’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে আমার নির্বাচনি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ৬৯ হাজার ৯০৪ টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা। এ বাংলা তার নেতৃত্বেই বদলে যাচ্ছে। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু উপকারভোগীদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।’
এর আগে, শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে ঘর ও জমির মালিকানা কাগজ হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন। পরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী উপকারভোগীদের মধ্যে চাবি ও কবুলিয়ত সনদ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এমও