ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। চট্টগ্রামের জনগণ যাকে খুশি তাকেই ভোট দিবে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সরকার কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।’
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এদেশের রাজনীতিতে সততার অনন্য নজির বঙ্গবন্ধু পরিবার। এ পরিবার থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে সততা ও সুমহান ত্যাগের।’
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখিয়ে মানুষের সেবায় কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভোগের লিপ্সা পরিহার করে ত্যাগের মহিমায় রাজনৈতিক কর্মি হিসেবে জীবনকে সাজাতে হবে।’ দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অবিরাম লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং গণতন্ত্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি নিজেদের পরিশুদ্ধ করার লড়াইও এগিয়ে নিতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামীর রাজনীতি হবে শুদ্ধতার,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বিজ্ঞানসম্মত।’
তিনি বলেন, ‘যারা দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, তাদের অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।আর সে লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
একটি দল অভিযোগ করছে, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার বাধা দিচ্ছে – এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মুখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো। আন্দোলনের নামে সহিংসতা ছড়ানো, মিছিলের নামে জনগণের সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়া কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতে পারে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষ হত্যার রাজনীতি করে, সন্ত্রাস আর দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করে, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে, এদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করেনা। বিএনপির কর্মসূচি দেখলে সরকার নয়, জনগণই ভয়ে আতংকিত থাকে।’ তিনি বিএনপিকে প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক বলেও উল্লেখ করেন।