Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাইকোর্টে সিলেটের ডিসির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:১৬

ঢাকা: আদালতের আদেশের পরেও সর্বোচ্চ দরদাতাকে পাথর বুঝিয়ে না দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম। তবে যথাযথভাবে আদালত অবমাননার জবাব দাখিল না করায় তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেননি আদালত। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিসিকে ফের হাজির হতে বলেছেন। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন শেখ আওসাফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। আর সিলেটের ডিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ শফিক মাহমুদ পুষ্প।

বিজ্ঞাপন

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী শেখ শফিক মাহমুদ পুষ্প। তিনি বলেন, পাথর নিলামের এক ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক। এ বিষয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি না দিয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ফের হাজির হতে হবে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

তবে রিটের পক্ষের আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বলেন, সিলেটের কানাইঘাটে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর বেশ কিছু পাথর জব্দ করে। এই পাথরগুলো নিয়ে মামলা হয়। এই মামলা চলাকালীন সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদফতর মিলে এক লাখ ঘনফুট পাথর নিলামে ওঠায়। ডিসির তত্ত্বাবধানে এটা করা হয়। নিলামে পাথরের সর্বোচ্চ দরদাতা হন রিট আবেদনকারী নিজাম উদ্দিন। নিলামের অর্থও তিনি জমা দেন। টাকা জমা দেওয়ার পরও তাকে পাথর দেওয়া হয় না। পাথর না পেয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়েছেন। পাথর পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। তারপরও পাথর না দেওয়ায় নিজাম উদ্দিন হাইকোর্টে রিট করেন।

বিজ্ঞাপন

রিটে বলা হয়, এক লাখ ঘনফুট পাথরের সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় নিজাম উদ্দিনকে পাথরগুলো দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর পাথর দেওয়া সংক্রান্ত বিষয় এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সে সময় পরিবেশ অধিদফতর জানায়, এই পাথর বিক্রির কর্তৃত্ব জেলা প্রশাসকের নয়। আদালতের আদেশ পাওয়ার পরও সিলেটের জেলা প্রশাসক কোনো ব্যবস্থা নেননি। আদালতের আদেশ পালন না করায় গত ১০ জানুয়ারি সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। ওই মামলার শুনানি নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসককে তলব করেন হাইকোর্ট। তলবে তিনি ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম

সিলেটের ডিসি হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর