ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান করবো, অনেক অনুষ্ঠানও আমাদের চিন্তাই আছে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের করেণে আমাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কর্মসূচি পালন করবো। কারণ আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
গত ১৮ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় এই অধিবেশন শুরু হয়। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয় এবং তা পাস হয়।
এই অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল ১২টি। মোট ১৩৩ জন সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন। মোট ২৫ ঘণ্টা ২৫ মিনিট আলোচনা হয়। এই অধিবেশনে মোট ছয়টি আইন পাস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উত্তরের জন্য মোট ৮৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনি ২৮টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের জন্য ১ হাজার ৬৮৯টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮২০টি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তারা। সংসদের অধিবেশন সমাপ্ত সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সমাপনি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার দায়ে সাজা হয়ে জেল খাটতে হয়। সেই দল নেতৃত্বে থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে কী করে? এখনো দেশে-বিদেশে নানাভাবে নানা অপপ্রচার চালানোর প্রচেষ্টা। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি সততা নিয়ে কাজ করলে, সেই কাজের সুফল জনগণ পাবে। আর সেটাই তৃপ্তি। আমরা সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যার সুফল এ দেশের মানুষ পাবে।